২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝালকাঠিতে যুবককে মারধর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ঝালকাঠিতে যুবককে মারধর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঝালকাঠিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবককে মারধর করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। নিজ ভিটা ছেড়ে তাকে দেশত্যাগের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের গরঙ্গা গ্রামের মৃত: বিরেন চন্দ্র সরকারের ছেলে রতন সরকার বুধবার ১০ আগস্ট দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

এতে লিখিত বক্তব্যে রতন সরকার বলেন, আমি আমার মা ও এক ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করি। আমাদের বাড়িটি অত্যন্ত নিরিবিলি স্থানে। এর আশপাশে তেমন কোনো বসতি নেই। গত শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন পলাশ ২০ থেকে ২৫ জন লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে যান।

বাড়িতে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। চেয়ারম্যানের সাথে থাকা লোকজন বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর ফকির, খোকন মল্লিক, পরিমল চন্দ্র শীল, পংকজ কুমার শীল, অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলাম ও মোবাশ্বেরসহ আরো ৫ থেকে ৭ জন মিলে আমাকে মারধর করেন। ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন তারা। পরে ‘এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করবি না’ বলে শাসান এবং এক পর্যায়ে দেশত্যাগের জন্য হুমকি দিয়ে চলে যান।

এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে আমি বাড়িতে যেতে পারতেছি না। পালিয়ে থাকতে হচ্ছে আমাকে। আমার বৃদ্ধ মা একা বসবাস করছেন। যে কোনো সময় আমার ওপর হামলা হতে পারে। আমি চমরভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। কোনো প্রতিকার পাইনি।

রতন সরকার আরো বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ মার্চ ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া দুই একর ৮৩ শতাংশ জমি অর্থের অভাবে বিক্রি করি। এর পর থেকেই জাহাঙ্গীর ফকির, পরিমল চন্দ্র শীল, খোকন মল্লিক, পংকজ কুমার শীল, অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলাম ও মোবাশ্বেরসহ এই মহলটি আমাদের ওপরে ক্ষিপ্ত ছিল। তারা এখন চাচ্ছে আমাদের বসত বাড়িসহ ফসলি জমি ফেলে রেখে আমরা এই দেশত্যাগ করে চলে যাই। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন পলাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি এ ধরনের একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement