২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফেরি উদ্বোধন নিয়ে বেতাগীবাসীর নিন্দার ঝড়

ফেরি উদ্বোধন নিয়ে বেতাগীবাসীর নিন্দার ঝড় - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিষখালী নদীতে বেতাগী-কচুয়া ফেরি উদ্বোধনে কচুয়ার সাধারণ জনগণ খুশি হলেও নিন্দার ঝড় তোলে বেতাগীবাসী।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে ফেরি উদ্বোধন করেন সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। এরপর থেকেই শুরু হয় বেতাগীবাসীর নিন্দার ঝড়।

জানা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে বেতাগী-কচুয়া ফেরির দাবিতে মানববন্ধনসহ আন্দোলন করে বেতাগীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, সাধারণ জনগণ, স্থানীয় সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকরা।

যাদের নেতৃত্বে ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ বি এম গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ফোরকান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান কবির, সাবেক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জলিলুর রহমান খান নান্না, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসাইন, পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন মল্লিক, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাসির উদ্দিন পিযুস, সাংবাদিক নেতা ইত্তেফাক প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মজনু, সমকাল প্রতিনিধি আব্দুস সালাম সিদ্দিকী ও কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালীসহ আরো অনেকে।

উদ্বোধনীর আয়োজন করা হয় কচুয়া অংশে। যেখানে রাখা হয়নি বেতাগী উপজেলার কোনো নেতৃবৃন্দকে। এতে বেতাগীর সাধারণ জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আয়োজকদের সমালোচনা করতে দেখা যায়।

কালের কণ্ঠ পত্রিকার বেতাগী প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালী বলেন, দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফলে আজকে ফেরি স্থাপিত হয়েছে এবং উদ্বোধন করা হয়েছে। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও বেতাগীর সাংবাদিকদের ছাড়া উদ্বোধন করাটা খুবই দুঃখজনক। এটা তাদের উচিত হয়নি।

দৈনিক ইত্তেফাক বেতাগীর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘৯৬ সাল থেকে এই ফেরির জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমাদের সাথে মরহুম এমপি গোলাম সবুর টুলুসহ বর্তমান এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন, মেয়র এ বি এম গোলাম কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান ছিলেন। সাংবাদিক নেতারাও ছিলেন কিন্তু আজকে তাদের এবং বেতাগীর সাংবাদিকদের উপেক্ষা করা হলো। তাই এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তীব্র নিন্দা জানাই।

বেতাগী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু বলেন, 'উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এই জনপদের জন্য ফেরি পাওয়া খুবই আনন্দের। তবে এই আনন্দের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ‍দিনের আন্দোলনের ইতিহাস। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের বরগুনার তিন এমপি ও মেয়র কাউকে না রাখায় আমরা অংশগ্রহণ করিনি।’

এই বিষয়ে আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement