২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আমতলীতে ভয়াবহ আগুন, ১৫ দোকান পুড়ে ছাই

আমতলীতে ভয়াবহ আগুন, ১৫ দোকান পুড়ে ছাই। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে অন্তত ১৫টি দোকান। এতে কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারের আল-আমিনের জ্বালানি তেলের দোকান থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহুর্তের মধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আমতলী, পটুয়াখালী ও কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দু’ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের দু’প্রান্তে চার কিলোমিটার মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ওই অগ্নিকাণ্ডে বাজারের আল-আমিনের জ্বালানি তেলের দোকান, আব্বাস কাজীর হোটেল, দুলাল প্যাদা, হালিম মিয়ার মুদি দোকান, লিটন মৃধার চালের আড়ৎ, নাশির প্যাদার চালের আড়ৎ, লতিফ সিকদারের ফার্মেসি, আবু তাহের চৌকিদার ফার্মেসি, বাবুল চৌকিদার কীটনাশকের দোকান, রাজিব সরদারের মোবাইলের দোকান, ছত্তার ফকিরের আমের আড়ৎ পুড়ে ছাই হয়েছে এবং মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনের বসতঘরসহ অন্তত আরো চারটি দোকান আংশিক পুড়ে গেছে। এতে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক ইউপি সদস্য মো: সোবাহান সিকদার ও রাজ্জাক মৃধা বলেন, আল আমিনের জ্বালানি তেলের দোকান থেকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১১টি দোকান পুড়ে ছাই এবং চারটি দোকান আংশিক পুড়ে গেছে।

জ্বালানি তেলের দোকান-মালিক মো: আল-আমিন বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি পথে বসে গেছি। আমার আর কিছুই রইল না।’

চালের আড়ৎ মালিক লিটন মৃধা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মুই জীবনে য্যা কামাই হরছি হ্যা সব শ্যাষ অইয়্যা গ্যাছে। মুই ক্যামনে গুড়াগাড়ারে লইয়্যা চলমু।’

আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো: গোলাম মোস্তফা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তিনি আরো বলেন, আল আমিনের জ্বালানি তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাথে পুলিশ বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement