২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বরগুনায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত স্কুলছাত্রীর

- প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে অপহৃত স্কুলছাত্রীর খোঁজ মেলেনি ৮ দিনেও। মেয়েকে ফিরে পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।

সোমবার দুপুরে দৈনিক নয়া দিগন্তকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু। এর আগে রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন অপহৃত ছাত্রীর মা।

অপহৃত স্কুলছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হতে পারে কিংবা তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। তার কোনো খোঁজ আমরা পাচ্ছি না।

ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো: আনিসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলায় আসামিরা হলেন বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে রুহুল আমীন মুন্সীর ছেলে মিরাজ মুন্সী (২০), বরগুনা সদর উপজেলার পুরাকাটা গ্রামের শাহজাহান সিকদারের ছেলে শহিদুল সিকদার (৩৫) ও মিরাজ মুন্সীর মা রুনা বেগম।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদীর স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। বাদী তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তার মেয়ে আমতলীর একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আসামি মিরাজ মুন্সী দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করে আসছেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি তার মায়ের কাছে এসব ঘটনা খুলে বলে। এতে মিরাজ মুন্সী প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। পরে ২৬ জুন সকাল ৯টার দিকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান মিরাজ। মেয়েটি ওই সময় বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে রাওঘা ইটের সলিং রাস্তায় পৌঁছলে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা মিরাজ স্কুলছাত্রীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে তার ভগ্নিপতি মো: শহিদুল সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। এলে অবশ্যই লিখিত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হতো।


আরো সংবাদ



premium cement