১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রিফাত হত্যার ৩ বছর, রায় ঝুলে আছে উচ্চ আদালতে

বরগুনায় রিফাত হত্যার ৩ বছর, রায় ঝুলে আছে উচ্চ আদালতে - ছবি : নয়া দিগন্ত

দিনটি ছিলো ২০১৯ সালের ২৬ জুন। বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত হত্যা। শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে। নিম্ন আদালতে বিচারের রায় হলেও আপিলে উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে বিচারকাজ।

ওইদিন সরকারি কলেজের এক ছাত্র নিজের মোবাইল ফোনে সেই ঘটনা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।

দ্রুত বিচার শেষে রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনসহ এলাকাবাসী। বন্ড বাহিনীর নৃশংস হামলায় তিন বছর আগে নিহত হন বরগুনার শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ। সেই থেকে ছবির মধ্যেই একমাত্র ছেলেকে খুঁজে বেড়ান তার অসুস্থ মা ডেইজি আক্তার। ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাবা দুলাল শরীফও। এছাড়াও দণ্ডিত আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রীসহ ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেয় বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ওই বছরের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় জেলা শিশু আদালত। রায়ের পর দণ্ডিত সব আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। এখন সেই আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও এ মামলায় দণ্ডিত ১৭ আসামির মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজন জামিনে রয়েছে।

নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, ‘নিম্ন আদালতে আমার ছেলে হত্যা মামলার রায় দ্রুত হলেও ঝুলে আছে বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া। অতি শিগগিরই এই রায় কার্যকর হওয়া উচিত।’

রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যা মামলার রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কার্যকর হয়নি। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়, তা আমি দেখতে চাই।’

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করেন আসামিপক্ষ। কোনো আপিল এখনো শুনানি হয়নি। সব আপিল শুনানির জন্য আছে।’


আরো সংবাদ



premium cement