২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধাকে পিটানোর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঘরে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম মঙ্গলবার (২৪ মে) এ আদেশ দেন।

আসামি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে আউয়াল ওই ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বারের ভাইয়ের ছেলে জহিরুল ইসলামের ক্ষেতের মুগডাল খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয় আউয়ালের সাথে। ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে আউয়াল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার বসতঘরে ডাকেন। উভয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আউয়াল উত্তেজিত হয়ে আবদুল জব্বারকে খুনের উদ্দেশ্যে লোহার রড ও কোদাল দিয়ে মাথায় ও পায়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।

পরে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রিপন মামলা করেন।

সেই মামলায় মেডিক্যাল সার্টিফিকেট তলব দিয়ে রোববার ওই ম্যাজিস্ট্রেট আওয়ামী লীগ নেতা আউয়ালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

আউয়াল মঙ্গলবার সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

নির্যাতিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার বলেন, ‘আজকে আমি মহাখুশি। বিচারক ন্যায় কাজ করেছেন। আমার বিশ্বাস, আমি শেষ বয়সে ন্যায়বিচার পাব। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এই স্বাধীন দেশে আমরা মার খাচ্ছি। আমি ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আউয়াল তার মেয়েদের দিয়ে আমার নাতিদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছে।’

আউয়ালের আইনজীবী মো: নুরুল আমীন বলেন, ‘আমার মক্বেল মুক্তিযোদ্ধাকে মারেনি। তার নাতিরা অপরাধ করেছে সে জন্য মামলা করেছে। ছোট ছোট ছেলেদের সাথে মুক্তিযোদ্ধার ঝামেলা হয়েছিল।’


আরো সংবাদ



premium cement