বরিশালে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
- বরিশাল ব্যুরো
- ১৬ মে ২০২২, ২২:০৫
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক কলেজশিক্ষার্থী।
সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন তিনি।
আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান জানান, মোবাইল ফোনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির সাথে ওই শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন সময় নগরীর একাধিক হোটেলে সময় কাটান তারা।
তিনি জানান, শনিবার (৭ মে) মোবাইল ফোনে জরুরী কথা আছে বলে নগরীর কাউনিয়া বৌ বাজার কলাইবাড়ী পোল এলাকার নিজ বাসায় ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে নেন তিনি। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কলেজশিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, সর্বশেষ ৮ মে একইভাবে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করেন ওই কাউন্সিলর। ১২ মে ওই শিক্ষার্থী বিয়ের জন্য রনিকে চাপ দিলে তাকে মারধর ও তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে সকল ডকুমেন্ট ডিলেট করে ভেঙে ফেলে দেন রনি। এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় ১৪ মে অভিযোগ দেন কাউন্সিলর।
পরে পুলিশ থানায় ডাকলে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করাসহ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা দিতে চান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। কিন্তু পুলিশ আদালতে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেন।
অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান জানান, কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বলেন, আমি ওই নারীকে চিনিও না। বরং দু’টি মোবাইল নম্বর দিয়ে ১৫ রমজান থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠান ওই নারী। কল করতেন। আমি বিরক্ত হয়ে ওই দুটি নম্বরের বিরুদ্ধে ১৪ মে থানায় জিডি করেছি। সামনে নির্বাচন আসন্ন বিধায় একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে এসব করাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা