১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝালকাঠি ও নলছিটির ১৯৪ জন গ্রাম পুলিশ স্থানীয় রাজস্ব অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না

-

ঝালকাঠি ও নলছিটি দুটি উপজেলার ১৯৪ জন গ্রাম পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজস্ব খাত অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, থানা পুলিশসহ ২০টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালনকারী এসব গ্রাম পুলিশের নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবতর জীবনযাপন করছে।

জেলা সদর উপজেলার ৯৮ জন গ্রাম পুলিশ ১২ মাস ধরে ও নলছিটি উপজেলার ৯৬ জন গ্রাম পুলিশ ৭ মাস ধরে স্থানীয় রাজস্ব খাত অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এসব গ্রাম পুলিশ ও তাদের পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত তাদের বেতনভাতা প্রদানের জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ইউনিয়ন পর্যায়ের দফাদার চৌকিদারদের বেতন-ভাতার অর্ধেক সরকারি রাজস্ব খাত থেকে ও বাকি অর্ধেক বেতনসহ ভাতার অর্থ দেয়া হয় উপজেলার স্থানীয় রাজস্ব খাতে ১% পার্সেন্ট অর্থ থেকে। জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার গ্রাম পুলিশেরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেলেও ঝালকাঠি ও নলছিটি উপজেলা দুটির ২১ জন দফাদার ও ১৭৩ জন চৌকিদারসহ ১৯৪ জন গ্রাম পুলিশ তাদের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

সদর উপজেলার কয়েকজন গ্রাম পুলিশ জানায়, বিগত ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সদর উপজেলার ৯৮ জন গ্রাম পুলিশের পুরো ১২ মাসের বেতন-ভাতা বাবদ ৫২ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকা বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এরমধ্যে প্রতি দফাদারের মাসে ৭ হাজার টাকা বেতনের মধ্যে স্থানীয় রাজস্ব খাত অংশের ৩ হাজার ৫০০ ও ভাতা ১২০০ টাকাসহ মোট ৪ হাজার ৭০০ টাকা বকেয়া রয়েছে।

একইভাবে প্রতি চৌকিদারের মাসে ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেতনের স্থানীয় রাজস্ব খাত অংশের ৩ হাজার ২০০ ৫০ টাকা ও ভাতা ১২০০ টাকাসহ মোট ৪ হাজার ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে। এতে গত এক বছরে দফাদার প্রতি ৫৬ হাজার ৪০০ টাকা ও ১০ জন দফাদারের ১২ মাসে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বেতন ভাতা বকেয়া রয়েছে। একইভাবে চৌকিদার প্রতি ৫৩ হাজার ৪০০ টাকা হিসেবে ৮৮ জন চৌকিদারের ১২ মাসে ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে।

অন্যদিকে নলছিটি উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, নলছিটির ৯৬ জন গ্রাম পুলিশের ২০২১ সালে সাত মাসের বেতন-ভাতা বাবদ মোট ২৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫০ টাকা বকেয়া রয়েছে। এরমধ্যে প্রতি দফাদার মাসে ৪ হাজার ৭০০ টাকা হিসেবে সাত মাসে ৩২ হাজার ৯০০ টাকা করে ১১ জন দফাদারের মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৩০০ টাকার বেতনভাতা বকেয়া রয়েছে। আর প্রতি চৌকিদার মাসে ৪ হাজার ৪৫০ টাকা ও সাত মাসে ৩১ হাজার ১৫০ টাকা হিসেবে ৮৫ চৌকিদারের বেতন-ভাতা ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা বকেয়া রয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহার গত বছর করোনার কারণে স্থানীয় রাজস্ব আয় কম হওয়ায় কিছু টাকা বকেয়া হওয়া কথা স্বীকার করেন। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই বরং সহসাই তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement