২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মোটরসাইকেলচালক হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালী সদরে মোটরসাইকেল চালককে রাজনৈতিক দ্বন্দে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজনু মোল্লার ঘরের পাশের ডোবা থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে সদর থানা ও ডিবি পুলিশ।
বুধবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ৬ তারিখ দিনগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে ৩টার মধ্যে যেকোনো সময় বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজনু মোল্লার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলচালক মাসুদ রানাকে কুপিয়ে হত্যা করে শ্যামল ডাক্তারের বাড়ীর পাশের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। পরে তার ভাই মাহফুজুর রহমান অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর মাত্র ৫ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ চারজন আসামিকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আল আমিন হত্যার দায় স্বীকার করে হত্যায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দেন।

ওই জবানবন্ধি অনুযায়ী গত ২৩ নভেম্বর বিকেলে ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় বিল্লাল হোসেন নামের আরেক আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে বিল্লালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার শেষ বিকেলে চেয়ারম্যান মজনু মোল্লার ঘরের পাশের ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডের সাথে স্ক্রু সংযুক্ত চেইন গিয়ার এবং ২টি বগি দা উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য মাসুদ রানাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান মজনু মোল্লা জড়িত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি এখনো আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। তাছাড়া যেহেতু হত্যায় যারা জড়িত ছিল এবং যেসকল অন্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোও আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি সেহেতু এ ঘটনার নেপথ্যে আরো কিছু থেকে থাকলে সেগুলোও আমরা উদঘাটন করতে সক্ষম হবো বলে আশা করি।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement