প্রেমিকের মায়ের গালমন্দ সইতে না পেরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
- পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৩১
দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কের ইতি! প্রেমিকার সাথে জোর করে দেখা করতে চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিকের মা। অবেশেষে প্রেমের শেষ পরিণতি হলো মৃত্যু।
বুধবার বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্য গুদামের পশ্চিম পাশে বসত বাড়িতে অভিমান করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মোসা: তুবা (১৫)। তুবা একই এলাকার সেন্টু মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লাকুরতলা গ্রামের আলমগীর হোসেরে ছেলে মো: সজীবের (১৯) সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তুবার। পারিবারিকভাবে আলোচনা করেই প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। একপর্যায় প্রেমিক সজিরে প্রেমের স্মৃতি ভুলতে না পেরে তুবার সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসে। এতে বাধা দেয় সজিবের মা মাজেদা বেগম। পরে সজিবের মা মাজেদা বেগম তুবাকে গালমন্দ করলে অভিমান করে নিজের ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তুবার লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে বরগুনা মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে।
তুবার ছোট দুলা ভাই সাদ্দাম হোসেন বলেন, সজিব মঙ্গলবার তুবার বাড়িতে এসে তুবার সাথে দেখা করতে চাইলে মা নাজমা বেগম বাধা দেয়। পরে জোর করে দেখা করতে চায় সজিব। বুধবার সকালে সজিবের মা মাজেদা বেগম তুবার বাড়িতে এসে তুবাকে গালমন্দ করলে লজ্জায় সবার অগোচরে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সজিবের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনেক আগে সে সম্পর্ক তারাই বন্ধ করে দিয়েছে। উল্টা তুবা আমার স্ত্রীর কাছে এসে সজিবের সাথে কথা বলতে চাইলে আমার স্ত্রী বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার ছেলের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ।
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল বাশার বলেন, লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা