নিষেধাজ্ঞার ১৫ দিনেও জেলেদের ভাগ্যে জোটেনি চাল

মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ১৫ দিন পার হলেও উপকূলীয় জনপদ বরগুনার
বেতাগীতে এখনো আর্থিক সহায়তার চাল পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ জেলেদের। তিন হাজার
১৮০ জন জেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা গেছে, বেতাগী পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে তিন হাজার ১৮০ জন জেলে রয়েছে। গত ৪ অক্টোবর থেকে সরকার ইলিশ মাছ আহরণ, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ উপজেলার জেলেরা দারদেনা ও বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে জাল নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরে। এ পরিবারগুলোর কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তার রাত কাটছে।

জেলে কমল দাস জানান, আর্থিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ ও পুর্নবাসনের চাল দিলে একটু হলেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবনযাপনে সহায়তা হতো।

উপজেলা মৎস্য সমিতির সভাপতি আব্দল রব সিকদার জানায়, জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তার চাল দেয়া দরকার।

ঝোপখালীর জেলে মোশারেফ হোসেন জানায়, আমরা কর্মকর্তার কাছে দাবি করতে পারব। এ ছাড়া আর কিছুই করতে পারবো না।

তবে নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক জেলে জানান, মৎস্য কর্মকর্তার কিছু খামখেয়ালি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এখানকার জেলে সঠিক সময় বরাদ্দের চাল পাছে না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘জেলেদের চাল ইতোমধ্যে বরাদ্দের ছাড়করণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন মৎস্য কর্মকর্তা কখন দিবে এটা তার নিজস্ব বিষয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘অতি শিগগিরই জেলেদের চাল দেয়া হবে।’