২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বরগুনায় এমপি রিমন প্রকাশ্যে মারলেন ব্যবসায়ীকে, তোলপাড়

- ছবি : সংগৃহীত

বরগুনা-২ (বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের হাতে প্রকাশ্যে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। অনেকেই এমপির এমন আচরণের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তবে এমপির ভাষ্য, খারাপ লোক হওয়ায় তিনি ‘চড়’ মেরেছেন ওই ব্যবসায়ীকে।

বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার বিকেলে এমপি পাথরঘাটা ছাত্রলীগ আয়োজিত স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পাথরঘাটা প্রিমিয়াম লীগ ফুটবল খেলায় মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসার সময় খেলোয়াড়দের বহনকরা মাইক্রোবাসটিকে এমপির লোকজন সাইড দিতে বলেন।

সরু রাস্তার কারণে মাইক্রোচালক সাইড না দেয়ায় এ সময় ক্ষেপে যান এমপি। পরে সভা মঞ্চে উঠে মাইক্রোবাসে থাকা পাথরঘাটা বিএএফডিসি মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে কেন তার মোটরসাইকেল বহরটিকে সাইড দেয়া হয়নি বলেই মারধর শুরু করেন জনসম্মুখে। এ সময় গালিগালাজ করে তার পা ধরে
ক্ষমা চাইতে বলা হয় মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা নজরুল ইসলামকে।

ভিকটিম মাছ‌ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, রাস্তায় এমপির গাড়িকে সাইড দিতে না পাড়ায় তাকে মারধর করা হয়েছে। তিনি বলেন, চিকন রাস্তা। সাইড দেয়ার মতো অবস্থা ছিল না। মাইক্রোচালক সাইড দিতে পারেনি। এ জন্য এমপি আমাকে সভা মঞ্চে ডেকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করে চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন সবার সামনে।

ঘটনার সময় মঞ্চে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির ও আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার সংসদ সদস্যর আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এমপি বলেছেন যে নজরুল মাইক্রোর ড্রাইভারকে সাইড না দেয়ার জন্য বলেছেন। এ জন্যই তিনি কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মেরেছেন।

এ ব্যাপারে আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার বলেন, ‘দেখেছি এমপি চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। মনে হয় কোনো বেয়াদবি করেছে। আমার কাছে বিষয়টি এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি মনে হচ্ছে।’

ওই সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন- পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন মুঠোফোনে বলেন, ‘নজরুল খারাপ লোক। তাই আমি তাকে চড় মেরেছি। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চড় মারা আমার অপরাধ হলে আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করুক।’

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, আমি মৌখিকভাবে বিষয়টা শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় যাবো।


আরো সংবাদ



premium cement