পরকীয়া প্রেমিকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক, প্রেমিক জেলে
- তালতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৪৫
বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া প্রেমিক খলিলের (৫০) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে এক গৃহবধূ। স্থানীয়দের কাছে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরার পর ওই নারী ধর্ষণ মামলা করেন।
শুক্রবার খলিলকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুল বাড়িয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তেতুল বাড়িয়া এলাকার মৃত গয়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মুদি ব্যাবসায়ী মো. খলিলের সাথে কড়ই বাড়িয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা গ্রামের এক জাহাজ শ্রমিকের স্ত্রীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। খলিলের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় গত রাতে মোবাইলে ডেকে আনে ওই গৃহবধূকে দোকান ঘড়ের পেছনে লুকিয়ে রাখে। সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধকরে দোকানের পেছনের রুমে গেলে মহিলাদের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে তালতলী থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওই নারীর অভিযোগে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
গৃহবধূ জানান, আমার স্বামী জাহাজে কাজ করে, গত কিছুদিন আগে খলিলের সাথে মোবাইলে পরিচয় হয়। গতকাল আমাকে তার বাড়িতে বেড়াতে যেতে বললে আমি তার বাড়ি বেড়াতে যাই। রাতে তার দোকানের পেছনের বাড়িতে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে শুয়ে পরলে খলিল আমায় ধর্ষণ করে। এ সময় আশপাশে মানুষের লাইটের আলো দেখে খলিল দরজা খুলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
রাতেই এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয়রা মীমাংসার চেষ্টা করে। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলে। ওই গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তালতলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই খলিলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুজ্জামান মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতা ওই গৃহবধূ একটি মামলা কারেছেন। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামিকে আটক করে শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা