দুমকিতে শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে জামাতা গ্রেফতার

পটুয়াখালীর দুমকিতে পারিবারিক কলহের জেরে মেয়ের জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি মোমেলা খাতুন (৫৫) খুনের ঘটনায় জামাতা জামাল হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে উপজেলার চরগরবদি ফেরিঘাট এলাকা থেকে জামাতা জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার গভীর রাতে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি ঝড়ঝড়িয়াতলা গ্রামে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতের স্বামী কাঞ্চন গাজী অভিযোগ করেন, তার বড় মেয়ে শিল্পী বেগমের সাথে ২০১১ সালে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ধনাইয়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে জামাল হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মেয়ে-জামাই তার বাড়িতে থেকে সংসার করছিল। তাদের সংসারে তিনটি মেয়ে সন্তান আছে। ঢাকার কুতুবখালী বড় মাদরাসা রোডের একটি ভাড়া বাসায় থেকে জামাল হোটেলবয়ের চাকরি করতেন। বেশ কিছু দিন ধরে স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় নিয়ে বসবাস করতে চাইলে মেয়ের সাথে জামাতার বিরোধ চলছিল।

জানা যায়, গত শুক্রবার জামাল ঢাকা থেকে চরগরবদি গ্রামের বাড়িতে এসে মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে তর্কবিতর্ক হয়। এর জেরে শনিবার রাতে মেয়েকে মারধর শুরু করলে শ্বশুর-শাশুড়ি বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাল হোসেন বেড়ার পাশ থেকে ধারালো দা নিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে শাশুড়ি মোমেলা খাতুনকে (৫৫) গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। আহতের চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পর রাতেই বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পর সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছোট ছেলে জামাল হোসেন।

এদিকে খুনের খবর প্রকাশ হলে চরগরবদি ফেরিঘাট এলাকায় লুকিয়ে থাকা জামালকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুরে জামালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। জামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।