১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রমিক সঙ্কটে দশমিনায় বিপাকে মুগডাল চাষিরা

ক্ষেতের ডাল ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে - ছবি নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালীর দশমিনার চাষিরা শ্রমিক সঙ্কটে মুগডাল ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাপদাহে মাঠে কাজ করতে পারছেন না শ্রমিকরা। ফলে ক্ষেতের ডাল ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ানে সাত হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে মুগডাল আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে বারি মুগ-৫, বিনা মুগ-৮ ও বারি মুগ-৬ বেশি আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বেশি আবদ হয়েছে।

উপজেলার কয়েকটি এলাকায় মুগডাল ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, ডাল পেকে সবুজের ফাঁকে ফাঁকে কালো হয়ে গেছে। রৌদ্রের তাপে ডালের ছড়া পেকে ফেটে গিয়ে ক্ষেতেই ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কয়েক কৃষক জানান, রৌদ্রের প্রচন্ড তাপদাহ আর শ্রমিক সঙ্কট থাকায় এ এলকার চাষিরা পড়েছে বিপাকে।

ডাল চাষি বহরমপুর ইউনিয়নের ইউনুছ তালুকদার বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিক মুজুরি দিয়েও ক্ষেত থেকে ডাল তোলানো যাচ্ছে না। দুই দিন ধরে এলাকার কিছু নারী শ্রমিকদের সাথে চার ভাগের এক ভাগ ডাল বিনিময় চুক্তিতে শ্রমিকরা ক্ষেত থেকে ডাল তুলছেন। তাও আবার ভোর বেলা সূর্য ওঠার আগে থেকে শুরু করে সকাল সারে সাতটা আটটার মধ্যে শেষ করে। কারণ এরপড় যে রৌদ্রের তাপ শুরু হয় সেই তাপের মধ্যে ক্ষেতে বসে থাকা সম্ভব হয় না।’

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া গ্রামের চাষি শংকর চন্দ্র বলেন, ‘আগে ক্ষেত থেকে ডাল তুলে দিলে নারী শ্রমিকদের দৈনিক ৮-১০ ঘন্টা কাজে তিন কেজি ডাল দিলে শ্রমিকের অভাব হতো না। অথচ এ বছর প্রচন্ড রৌদ্রের তাপের কারনে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে তার সংগ্রহের চার ভাগের এক ভাগ ডাল। এতে করে চাষিদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।’

একই এলাকার আরেক চাষি জামাল হাওলাদার বলেন, ‘আমি এক একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল প্রজাতীর পনেরো কেজি মুগডাল চাষ করেছি। ব্যায় হয়েছে প্রায় সারে সাত হাজার টাকা। গাছে যে ভাবে ফল এসেছিল তাতে প্রতি একরে আটমন ডাল পাওয়া যেত। বর্তমান বাজার মূল্যেও ভালো। ক্ষেতে প্রথমে দেখা দেয় লেদা পোকার আক্রমণ। পোকায় ক্ষেতের অনেক ডাল বিনষ্ট করে ফেললে ওষুধ ছিটিয়ে কিছু ডাল রক্ষা হয়। কিন্তু বর্তমানে শ্রমিক সঙ্কটে ডাল পেকে ক্ষেতে ঝড়ে পড়ার উপক্রম। তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের সাথে বিগত বছরের চেয়ে অধিক বিনিময় চুক্তি করে ক্ষেত থেকে ডাল তুলতে হচ্ছে।’

ক্ষেত থেকে ডাল তুলছেন এমন কয়েকজন নারী শ্রমিক সর্মি, তাছলিমা, লাকি, মুক্তা রানী, কালী রানী ও স্বর্মিলা বলেন, ‘রোদের এই তাপে কোনো ভাবেই এক সাথে ত্রিশ মিনিট বসা যায় না। ভোরে সাহরি খেয়ে নামাজ পড়ে আলো হলেই ক্ষেতে আসেন। সকালে রোদের তাপ বাড়লেই বাড়ি চলে যান।’

উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো: জাফর আহম্মদ বলেন, ‘এটা একটা প্রকৃতিক দুর্যোগ বলতে পারেন। এ সময় কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় রৌদ্রের তাপদাহে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারপড়েও কৃষকদের বলা হয়েছে শ্রমিক মুজুরি যদি বেশি যায় তবুও ক্ষেত থেকে ডাল তুলে ফেলুন। তাতেও কৃষকদের লোকসান হবে না। কারণ বিগত বছরের চেয়ে এ বছর ডালের দাম অনেক বেশি।


আরো সংবাদ



premium cement
দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরিয়ায় আইএস-এর হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা সদস্য নিহত ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু জনসমর্থনহীন সরকার জনগণের আওয়াজ নির্মমভাবে দমন করে : রিজভী সরিষাবাড়ীতে স্কুলছাত্র হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উজিরপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ১

সকল