২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে নলছিটির নারীরা

মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে নলছিটির নারীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়েছে হাতে ভাজা মুড়ির। এ সময় অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি ভাজার কারিগররা।রমজান মাসের ইফতারিতে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ব্যাপক চাহিদা থাকে মুড়ির। সব শ্রেণী পেশার মানুষের খাবার এটি।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মুড়িপল্লির নারীরা ব্যস্ত সময় পার করছে মুড়ি ভাজার কাজে। উপজেলার দপদপিয়া, নাচনমহল, সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের কয়েক শ’ পরিবার হাতে ভাজা মুড়ির কাজের সাথে জড়িত। অনেক নারীর হয়েছে বাড়তি আয়ের সুযোগ। হাতে ভাজা মুড়ির কদর রয়েছে সারা দেশেই। রাসায়নিক সার না মিশিয়ে হাতে ভাজা এ মুড়ি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।

গ্রামগুলোতে দিনরাত চলছে মুড়ি ভাজার কাজ। তবে বছরে প্রতিদিন চলে কম বেশি মুড়ি ভাজার কাজ। এ কাজে সহ্য করতে হয় চুলার আগুনের তাপ। যাদের বয়স বেড়েছে, তাদের এ কাজে কষ্ট হয় বেশি। মুড়ি ভাজা কাজে নারীদের জন্য আলাদা কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় সাবলম্বী হয়েছে অনেক নারী। আবার অনেক অসহায় নারীর এ আয় দিয়েই চলে সংসার। প্রতি কেজি চাল থেকে মুড়ি ভেজে দেয়ার
মাধ্যমে একজন কারিগর ১৫ থেকে ২০ টাকা আয় করে থাকে। এতে প্রতিদিন এ কাজের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়। শবে বরাতের পর থেকে রমজান মাস পর্যন্ত কাজের চাহিদা ভেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন একজন কারিগর প্রায় এক হাজার থেকে ১৫ শ’ টাকা আয় করে। প্রতিদিন ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিভিন্ন এলাকার মানুষজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে হাতে মুড়ি ভাজিয়ে নেয়, এতে খরচও কম হয়।

দোকানিরা কারিগরদের কাছ থেকে মুড়ি ভেজে ১০০ থেকে ১১০ টাকা খুচরা বিক্রি করে। মুড়ি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারদের আসতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই তাদের মুড়ি বিক্রয় লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হবে কি-না তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

মুড়ি ভাজার কারিগর রওশন আরা জানান, স্বামীর আয়ে বর্তমানে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই সংসারের যোগান দিতে মুড়ি বাজার কাজকে বেছে নিয়েছি এতে করে আমার সংসারের কিছুটা অভাব কমেছে। তবে সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে ধান কিনে চাল বানিয়ে মুড়ি ভেজে তা পাইকারি বিক্রি করা শুরু করতাম।


আরো সংবাদ



premium cement