২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগুনমুখা নদীতে নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার

আগুনমুখা নদীতে নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার - নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর শনিবার ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। নিহতদের লাশ বর্তমানে কোড়ালীয়া লঞ্চঘাটে রয়েছে এবং এটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত ব্যাক্তিরা হলেন, রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনেষ্টবল মো. মহিবুল হক (৫৭), বাহেরচর শাখা কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার লোন অফিসার কবির হোসেন (৩১), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মো. হাসান মিয়া (৩০) ও মো. ইমরান (৩২)।

নিহত মহিব্বুল্লাহ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইন গ্রামের মৃত রহমানের হকের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে, কবির হোসেন বাউফল উপজেলার আজিজ সিকদারের ছেলে, হাসান মিয়া পটুয়াখালী সদরের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে ও মো. ইমরান বাউফল উপজেলার জয়গোড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আগুনমুখা নদীতে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ‍দুর্ঘটনাকালে নদী বন্দরে ২নং ও সমুদ্র বন্দরে ৩নং সতর্ক সংকেত জারি ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দূর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পীডবোটটি কোড়ালীয়া থেকে পানপট্টির উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। মাঝপথে আগুনমুখা নীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পীডবোট উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পরে যায়। এসময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় চালকসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধার হয়। বাকি ৫ জন নিখোঁজ রয়ে যায়। পরে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ঘটনার ৩৬ ঘণ্টাপর আগুনমুখা নদীর কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। একজনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বাকি ৪ জনের লাশ স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী আহম্মেদ জানান, নিহত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারে কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। যেহেতু পানিতে ডুবে মারাগেছে, সেহেতু আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স স্প্রিডবোট চালানো কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement