১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গল্পটি জীবনযুদ্ধে হার না মানা ফরিদের

গল্পটি জীবনযুদ্ধে হার না মানা ফরিদের - নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা গ্রামের প্রতিবন্ধী ফরিদ অন্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। স্থানীয় মালিয়ার হাটে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে কোনো রকমে চলছে তার ছোট্ট দোকান। এ যেন জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক বীরের গল্প।

৩২ বছর বয়সে একবারও দাঁড়াতে পারেননি দুই পায়ে। ৩২ বছরে তার শরীর বেড়েছে মাত্র ২৬ ইঞ্চি। শারীরিক এই বাধা উপেক্ষা করে ২০ বছর আগেই নেমেছেন জীবনযুদ্ধে। বিগত ২০ বছর মায়ের কোলে ভর করে সকালে বাড়ি থেকে বের হন দোকানের উদ্দেশে। দু’পা ও দু’হাত অসাড় শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক ফরিদ নিজে কোনো ক্রেতার হাতে মালামাল তুলে দিতে পারেন না বলে থেমে নেই তার জীবন। ক্রেতারাও তাকে সহযোগিতা করছেন নিজেদের সাধ্যমতো। দাম পরিশোধ করে নিজের ক্রয়করা মালামাল নিজেই তুলে নিচ্ছেন দোকান থেকে। বেচাকেনা শেষে আবার মায়ের কোলে ভর করেই বাসায় ফিরেন রাত ১০টায়। এভাবেই প্রতিদিন যুদ্ধ করে চলছেন নিজের নিয়তির সাথে।

আত্মনির্ভরশীল এই প্রতিবন্ধীর সাথে কথা বললে তিনি দাবি করেন, একখন্ড জমি বরাদ্দ পেলে সেখানে একটি ঘর তুলে ব্যবসা করতে পারবেন তিনি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী ফরিদ হোসেন আত্মনির্ভরশীল এক জন মানুষ। গৌরিপুর ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা গ্রামের কৃষক বারেক মৃধা ও রওশন আরা বেগম দম্পতির চার ছেলের মধ্যে ফরিদ হোসেন সেজ। ফরিদ হোসেনের অন্য ভাইয়েরা পরিপূর্ণ শারীরিক গঠন নিয়ে বেড়ে উঠলেও শুধু তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। হাত ও পা অস্বাভাবিক রকমের হওয়ায় এগুলো কোনো কাজে আসছে না তার জীবন ধারণের জন্য। ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েও কোনো লাভ হয়নি ফরিদের।

মালিয়ারহাট বাজারের পাকা সেতুর পাশে ছোট্ট পরিসরে ফরিদ স্টোর নামের একটি মুদি দোকান চালান তিনি। ২০ বছর ধরে মালিয়ারহাট বাজারে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে চার হাজার টাকার পণ্য তুলে ব্যবসা শুরু করেন ফরিদ। এখন তার দোকানের ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। সম্প্রতি ফরিদের এমন অসহায় অবস্থা দেখে স্থানীয় এক সাংবাদিকের চেষ্টায় উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে একটি হুইল চেয়ার পেয়ে দোকানে আসা-যাওয়া করেন।

রোববার সকালে ফরিদের সাথে একান্ত আলাপকালে নয়া দিগন্তের সাংবাদিককে তিনি জানান, শত কষ্টের গড়া এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকবার চুরি হয়েছে। তাই দোকানে তেমন কোনো মালামাল নেই। কষ্ট আর অভাবের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন ফরিদ।

প্রতিবন্ধী ফরিদের মতো যোদ্ধাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে পারেন সমাজের বিত্তবান ও পরোপকারী ব্যক্তিরাও। শারীরিক প্রতিবন্ধী ফরিদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারেন আপনিও। ফরিদের ব্যক্তিগত নম্বরে (০১৭৪০-৭৪৮৮৮৮ বিকাশ) সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল