১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা মৌজায় তিন ফসলী জমিতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে প্রস্তাবিত কনস্টওাকশন অফ পায়রা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার ৪০০ কেভি ট্যান্সমিশন সিসটেম প্রকল্পের আওতায় বরগুনা জেলায় একটি ৪০০ কেভি সুইচিং উপকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা মৌজায় ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এর জন্য ৫০ একর জমির অধিগ্রহণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আমতলী সদর ইউনিয়নের ভূক্তভোগী কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।

শনিবার সকাল ১১টায় খুড়িয়ার খেয়াঘাট বাজার মূল সড়কে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ইউনিয়নের ভূক্তভুগী জনসাধারণ। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।

আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: মোতাহার উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো: মজনু মৃধা, উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা, চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহজাহান কবির, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: আবুল হোসেন, চলাভাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলহাজ্ব মো: রাশেদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মো: মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ভুক্তভোগীরা জানান, সদর  ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের  চলাভাঙ্গা মৌজায় ৫০ একর তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে এ এলাকার কৃষকদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নাই। পথে বসতে হবে এলাকার গরিব অসহায় সাধারণ কৃষকদের। অনাহারে দিন কাটাবে তাদের। সামান্য জমি নিয়ে গেলে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এছাড়া ওই জমির দাগের পাশেই চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চলাভাঙ্গা জামে মসজিদ, চলাভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, চলাভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসা ও ঐতিহ্যবাহী খুড়িয়ার খেয়াঘাট বাজারসহ অনেক স্থায়ী স্থাপনা রয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মিত হলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো: মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ গরিব কৃষক। তারা তাদের সামান্য জমিতে শাক-সবজিসহ তিনটি ফসল উৎপন্ন করে জীবন নির্বাহ করে থাকেন। এসব গরিব কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হলে তাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, চলাভাঙ্গা মৌজায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মাণ না করে একই ইউনিয়নের টিয়াখালী মৌজায় সরকারি জমিসহ ব্যাপক অনাবাদী জমি রয়েছে সেখানে জনবসতিও কম। সেখানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মাণ করলে জনসাধারনের কোনো ক্ষতি হবে না।

ভূক্তভোগীরা চলাভাঙ্গা মৌজার পরিবর্তে টিয়াখালী মৌজায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান ।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল