২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পটুয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন, আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি

-

পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রকিব উদ্দিন রুমন ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ কর্মী ইশাত তালুকদারের খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত যুবলীগ নেতা রুমনের বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি তিনি বলেন, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ একই ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মহিউদ্দিন লাভলু ও তার দোষররা আমার ভাই যুবলীগ নেতা রুমন ও চাচাতো ভাই ইশাতকে নিশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা করলেও পুলিশ প্রধান আসামি লাভলু, ফারুক তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, রাসেল হাওলাদার, ইব্রাহিম, রাসমোহন ও আব্বাসসহ অন্য আসামিদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেননি। বরং তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সরব থেকে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর খুনিরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের মতো আমাদেরকেও সপরিবারে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা সালেহ উদ্দিন পিকু বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুনের প্রতি ক্ষুদ্ধ মনোভাব দেখিয়ে বলেন, গত ৩১ জুলাই দুপুরে কেশবপুর বাজারের চেয়ারম্যান লাভলুর দোষররা আমার ছোট ভাই হাফিজ উদ্দিন পিন্টু, জোড়া খুন মামলার বাদি মফিজ উদ্দিন মিন্টুসহ ৮ থেকে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন। এই ঘটনায় আমি ওই দিন সন্ধ্যায় মামলা করার জন্য বাউফল থানায় যাই। কিন্তু ওসি (তদন্ত) আল মামুন আমার এজাহারটি রজু করেননি। ওই সময় তিনি মামলা নিলে হয়তো এই জোড়া খুনের ঘটনা নাও ঘটতে পারতো। ওসি আল মামুন মামলা না নেয়ার কারণেই এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা ২ আগস্ট সন্ধ্যায় আমার দুই ভাইকে খুন করে।

চেয়ারম্যান লাভলু এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্যই সন্ত্রাসীদের লালন পালন করছেন। আমি এই জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি ফারুক তালুকদার রফিকুল ইসলাম, রাসেল হাওলাদার, ইব্রাহিম, রাসমোহন ও আব্বাসসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করছি এবং যাতে কোনো মহল এই মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আমাদের ন্যায় বিচার থেকে বঞ্ছিত করতে না পারে তার জন্য মানবতার মা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত যুবলীগ নেতা রুমনের মা ফাতেমা বেগম, ভাই মামলার বাদি মফিজ উদ্দিন মিন্টু, হাফিজ উদ্দিন পিন্টু, ইউপি সদস্য জিয়াউদ্দিন সুজন, বোন জেবুন নাহার অনিসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম মুন্সী, যুবলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ছিয়ানুর হাওলাদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement