২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বেতাগীতে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্বহীনতার অভিযোগ
বেতাগী পৌরসভার হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এভাবেই বাজারে সবাই ভিড় করেছে - নয়া দিগন্ত

বরগুনার বেতাগীতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না পশুর হাটগুলোতে। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে পশুর সংখ্যা ও মানুষের আনাগোনা। পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মান্নানের হাট, কাজির হাট, চান্দখালী, কমড়াখালী ও বেতাগী সদরে ৫টি পশুর হাট রয়েছে। তবে এসব হাটে নেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই।

নিরাপদ মাংস উপাদন, কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশবান্ধব কোরবানির পশুর হাটের কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটরিং করার জন্য মেডিক্যাল টিম কাজ করছে, কিন্ত অবস্থা যেই-সেই। তবে আশার কথা যদিও ক্রেতা সংখ্যা খুবই সামন্য তারপরেও অনলাইনেও পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে ও বিকেলে সরেজমিনে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের ও কাজিরাবাদের মান্নানের হাট পশুরহাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে অবাধে চলাফেরা করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতো দূরের কথা হাটে আসা প্রায় মানুষই অকারণে হাট চষে বেড়াচ্ছে। তাদের মাঝে সামন্যতম সচেতনতাবোধও কাছ করছে না। অনেকে বাড়ি থেকে কষ্ট করে মাস্ক পরে হাটে এলেও তা পকেটে রেখে দিয়েছেন।

মাস্ক পরিধানবিহীন হাটে আসা একাধিক ক্রেতা নানা অজুহাত পেশ করে বলেন, তাড়াহুড়া করে আসতে গিয়ে মাস্ক বাড়িতে রেখে এসেছেন। কেউ বলেন, দোকানপাটে বসতে গিয়ে ভুলে ফেলে রেখেছেন। তবে বাজার থেকে ফেরার পথে মাস্ক কিনে তা পরিধান করে বাড়ি ফিরবেন।

হাট ইজাদার মো: কামাল হোসেন পল্টু জানান, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এ হাটে।’ এ জন্য হাটের ভেতরে মাস্ক বিক্রয়ের ব্যবস্থা এমনকি মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।

বেতাগী পশুরহাটে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিমের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো: সাহেব আলী জানান, ‘এর পরেও অনেকে তা মানতে চাইছে না। ব্যক্তি সচেতন না হলে এ ব্যাপারে তাদের আর কিছুই করার নেই।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তারপরেও মানুষের সচেতনতার অভাবে হাটগুলোতে খুব একটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। তবে কেউ যাতে রোগাক্রান্ত পশু বিক্রয় করতে না পারে সে বিষয় সর্ব্বোচ সতর্কাবস্থায় থাকার জন্য মেডিক্যাল টিমকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement