২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি ঘর নির্মাণ করে দিলো সেনাবাহিনী

আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি ঘর নির্মাণ করে দিলো সেনাবাহিনী - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী বড়মাছুয়া ইউনিয়নে খেজুর বাড়িয়া, চড় ভোলমারা জেলে পল্লীর বেল্লাল, আলমগীর, দেলোয়ার, আবুল ও দেলোয়ার খলিফার ঘরের চাল উড়ে যায়। টাকার অভাবে ঘর ঠিক করতে পারছিলেন না তারা। এ খবর শুনে তাদের ক্ষতিগ্রস্খ ঘর গুলো নির্মাণ করে দিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী বড়মাছুয়া ইউনিয়নের জেলে পল্লী খেজুরবাড়িয়া গ্রামের স্ট্রীমার ঘাট ও চর ভোলমারা এলাকায় দুঃস্থ অসহায় ৫টি জেলে পরিবারের ক্ষতিগ্রস্থ ৫ টি ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাত পদাতিক ডিভিশন ২৬ হর্স রেজিমেন্ট। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাত পদাতিক ডিভিশন ২৬ হর্স রেজিমেন্ট এর ক্যাপ্টেন মুয়াজ আলম সহ তার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম ।

জেলে আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দিন ঘরেই ছিলাম। হঠাৎ রাতে প্রচন্ডঝড়ে ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। উপায় না পেয়ে ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসি সবাই। তিনি বলেন, টাকার অভাবে ঘরটি ঠিক করতে পারিনি। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পরের দিন সেনাবাহিনীর সদস্যরা খাদ্য সহায়তা নিয়ে আসেন। তারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ বসত ঘর দেখে তালিকা করেন। ঠিক তার পরের দিন থেকেই কাঠ, বাশ, টিন দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ ঘর নির্মণ শুরু করে সেনাবাহিনী।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যাওয়ার ঘর সেনাবাহিনী এসে নতুন টিন, কাঠ, বাঁশ কিনে ৫টি ঘর তৈরি করে দেয়। নতুন ঘর পেয়ে খুশি ওই দুঃস্থ জেলে পরিবারের সদস্যরা।

ক্যাপ্টেন মুয়াজ আলম বলেন, দেশের যেকোনো সঙ্কটে সেনাবাহিনী মানুষের জন্য কাজ করে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫ জন অসহায় গরিব মানুষের ঘর ইতোমধ্যে নির্মান করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement