মনপুরায় স্থানীয়দের উদ্যোগে চলছে বাঁধ মেরামত
ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধভেঙে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দির আশংকা- ভোলা সংবাদদাতা
- ৩১ মে ২০২০, ২০:৪৫, আপডেট: ৩১ মে ২০২০, ২০:৩৮
ভোলার বিচ্ছিন্ন দূর্গম মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আজ অবধি ভাঙা বেড়িবাঁধের মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে সামনের অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের পানির তীব্র ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরযতিন ও সোনারচর গ্রামবাসীর আর্থিক সহযোগিতা ও যুব সমাজের উদ্যোগে পুরান থানা সংলগ্ন পাকা রাস্তার সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার সাথে উত্তর সাকুচিয়া সংযোগ বাঁধ সড়কটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেঙে যাওয়ার পথে। দ্রুত এই সড়কটির মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে যেকোন সময়ে ভেঙে মেঘনা তলিয়ে যাবে ও উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনগণ এমন দাবি করছেন উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক ও উত্তর সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাকির হোসেন।
উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের কাশেম, মনির, সুমন, মামুন, রবিউল, আব্বাস, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মোশারেফ, ছলেমান, কবির, নাইম, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রাকিব, সাত্তার, শাহে আলম, বাহাদুর , নাইম, মনপুরা ইউনিয়নের মিজান, শামচু, রতন, সাইফুল, আনোয়ারসহ শতাধিক ব্যক্তি জানান, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মেরামতের কাজ দ্রুত সময়ে না করতে পারলে সামনের অমাবস্যার জোয়ারে বাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলা প্লাবিত হতে পারে। এতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পনিবন্দি হতে পারে বলে আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।
একই কথা বলেন হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক। তিনি জানান, তার ইউনিয়নে তিনটি পয়েন্টে বাঁধের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের কাজ না করা হলে পানিবান্দি হতে পারে হাজার হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আ: রহমান বলেন, বাঁধ মেরামতে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। অনেকে জায়গায় বিকল্প বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পাউবোকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও অমাবস্যা আসার আগে বাঁধ মেরামত না করতে পারলে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা