২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমফানে আমতলী ও তালতলীতে পানিবন্দি শতাধিক পরিবার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

সুপার সাইক্লোন আমফানে বুধবার রাতে উপকূলীয় জেলা বরগুনার আমতলী ও তালতলীতে আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপকূলের দুই উপজেলায় দুই হাজারের বেশি কাঁচা ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও আংশিক ধ্বসে গেছে। দুই উপজেলায় ৩৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

বুধবার আমফান আসার শুরুতে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার গতি বাড়তে থাকে। যা রাত ৩টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এভাবেই শেষ হয় ঘূর্ণিঝড় আমফান।

ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও সরকারি ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে আমতলীতে ১ হাজার ৮৯৩টি এবং তালতলীতে ৬০৭টি ঘর ধ্বসে গেছে। বেড়িবাঁধের বাহিরে দুই হাজারের বেশি মাছের ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে জোয়ারের পানিতে। এতে মাছ চাষিরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। দুই উপজেলার ৫টি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি বন্দি হয়ে পড়ে প্রায় শতাধিক পরিবার। নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার একর জমির ফসল। উপড়ে পরেছে হাজার হাজার গাছপালা।

এছাড়া আমফানের তাণ্ডবে আমতলী পৌরসভাসহ চাওড়া, আমতলী সদর, হলদিয়া, কুকুয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, সোনাকাটা, নিশানবাড়িয়া, বড়বগী, ছোটবগী, কড়াইবাড়িয়া, শারিকখালী ও পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান।

আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের নাইয়াপাড়ার গ্রামের সোহেল ও গনি প্যাদা এবং কাঠালিয়া গ্রামের ফজলু সরদার বলেন, তাদের বসত ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। তারা এখন খোলা আকাশের নিছে ছাপড়া দিয়ে বসবাস করছেন।

নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম মাতুব্বর বলেন, জোয়ারের চাপে তেতুলবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে আমিসহ এ এলাকার ত্রিশটি পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছি।

গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, নাইয়াপাড়া ও হিন্দুপাড়াসহ আমার ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পানির তোড়ে ৪৩/২-এফ পোল্ডারের কালীবাড়ী এলাকায় ভেরীবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে দুটি মাছের ঘের। বিধ্বস্থ হয়েছে গোজখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি টিনসেট ভবন।

আমতলী পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ওয়াবদা বেড়িবাঁধের বাহিরে পায়রা নদীর তীরে বসবাসরত পরিবারগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, ধ্বসে যাওয়া বাঁধগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত মেরামত করে দিবে। আর ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সহায়তা দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ৩ মামলা তৃণমূল সংগঠনের মজবুতির জন্য কাজ করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ‘দেশ ও জাতি দুঃসময় পার করছে’ ওসমানীনগরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২ সহ-অধিনায়ক হতে পারেন রিজওয়ান মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের

সকল