তিন দিন ধরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা অফিসে নেই, চাল পাচ্ছে না দরিদ্ররা

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. আনোয়ার হোসেন তিন দিন ধরে অফিসে না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে জনপ্রতিনিধিরা। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ করা চাল বিতরণ করতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বরাদ্দকৃত চাল নিতে এস, না পেয়ে ফিরে গেছেন। তাঁরা খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাহিদাপত্র না পেয়ে ক্ষুব্দ হন।

জানা যায়, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নলছিটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় হতদরিদ্রদের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়ে এলাকার কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন। তবে গুদাম কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন গত তিনদিন ধরে অফিস করছেন না। তাঁর সাক্ষর ছাড়া চাহিদাপত্র ও গুদাম থেকে চাল নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না জনপ্রতিনিধিদের। হতদরিদ্ররা খাদ্য সংকটে থাকলেও শুধু খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার সেচ্ছাচারিতায় তাদের খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন না।

খাদ্যগুদামে চাল নিতে আসা নলছিটির মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন অভিযোগ করেন, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গত কয়েকদিন ধরে অফিসে আসছেন না। তিনি চাল বরাদ্দের চাহিদাপত্র না দিলে আমরা বরাদ্দ নিতে পারি না। বর্তমানে আমরা বরাদ্দকৃত চাল নিতেও পারছি না, এলাকায় বিতরণও করতে পারছি না।

এ ব্যাপরে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, সরকারি চাহিদাপত্র ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের হাতে মালামাল দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এতে কাজের সচ্ছতা নষ্ট হয়। এমন সংকটময় অবস্থায় খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়টি আমার জানা নেই। একজন ইউপি চেয়ারম্যান সকালে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতির কা রণ জেনে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে নলছিটি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন মুঠোফেনে বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ডিও লেটার (চাহিদাপত্র) ছাড়াই যথাসময়ে চাল বিরতণ করা হচ্ছে। সুস্থ হয়ে অফিসে ফিরলে জনপ্রতিনিধিদের ডিও সরবারহ করা হবে।