২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গমের ভুসি খেয়েই জীবন কাটছে রাবেয়ার

খাবার না পেলে ভুসি খেয়ে দিন কাটান রাবেয়া - ছবি : নয়া দিগন্ত

কাউকে দেখলেই হাত বাড়িয়ে বলেন, মামা একছের (ভিষণ) খিদা লাগছে, খামু। দুগ্গা (দুই) টাহা আছে?

মায়া লাগলে কেউ কিছু কিনে দেন, আবার কেউ দুর-দুর করে তাড়িয়ে দেন। এতে কোনো অভিযোগ নেই। মাঝে মধ্যে সুর করে কান্না করে বিরামহীন। তবে হাটে-বাজারে দোকান থেকে গবাদি পশুর খাদ্য, গমের ভুসি খেয়েই জীবন চলে এ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর।

লাল শাড়ী তার ভীষণ পছন্দের। এই শাড়ী পরে বউ সেজে স্বামীর ঘরে যাবেন এটা তার একমাত্র লালিত স্বপ্ন। জানেন না কে তার মা-বাবা বা কোথায় তার জন্ম?

বলছি বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের ৩০ উর্ধ্ব মানসিক ভারসাম্যহীন রাবেয়ার কথা। তার পুরো নাম কেউ জানেন না।

জানা যায়, প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে রাবেয়া মঠবাড়িয়া থেকে বামনায় আসেন। তারপর থেকে বামনা সদরের হাট-বাজার, পরিত্যাক্ত ভবন, লঞ্চ-টর্মিনালে এসব স্থানে তাকে দেখা যায়। বিভিন্ন মুদি দোকানের সামনে রাখা গমের মোটা ভুসি খেয়ে জীবন চলে রাবেয়ার।

বেশ কয়েক বছর আগে বামনার কালিকাবাড়ী গ্রামের আলম সরদারের বাড়িতে মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে রাবেয়ার। পরিবার থেকে খাবার দিলেও তা কখনো খায় আবার কখনো খায় না রাবেয়া। তবে না খেয়ে আর কতদিন, তার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেয়নি এখন পর্যন্ত কেউ।

আলম সরদারের পরিবার থেকে জানা যা,য় তাদের সাধ্যমত যতটুকু পারে তাকে খাবার দেয়। তবে তার জন্য কোনো বরাদ্দ পেলে ভালো হতো।

হাটে বাজার থেকে ও প্রতিবেশীরা খাবর দিলে রাবেয়া খায়, তবে এ খাবার নির্দিষ্ট নয়। খাবার না পেলে ভুসি খেয়ে জীবন তরী বাইছে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। সরকারী-বেসরকারী সব সহায়তা বঞ্চিত রাবেয়ার জন্মই যেনো আজন্ম পাপ।


আরো সংবাদ



premium cement