২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বরিশালের ডাক্তাররা পেলো পিপিই, চালু হলো স্পেশাল বাস

বরিশালের ডাক্তাররা পেলো পিপিই, চালু হলো স্পেশাল বাস - সংগৃহীত

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের জন্য ১ হাজার পিপিই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আপদকালীন এই সময়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য স্পেশাল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য এক হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পিপিই সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে আমরা হাতেও পেয়েছি।

এছাড়াও আজ থেকে আপদকালীন এই সময়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। যে সার্ভিসের আওতায় নির্ধারিত দুটি মিনিবাস নির্ধারিত র”ট ও সময় ধরে চলাচল করবে।

এ বাস দুটি শুধু হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত হবে। যার ফলে হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বজায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেনি তিনি।

এদিকে চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়ায় সন্তেষ প্রকাশ করেছেস শেবাচিম হাসপাতালের আন্তঃ ও বহিবিভাগের চিকিৎসকরা।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) এড়াতে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছেন ২ হাজার ৭৫৫ জন। এরমধ্যে ১২০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত ১৪ দিন বাড়িতে অবস্থানের পর কোনো উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় এ ১২০৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে শনিবার (২৮ মার্চ) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ২ হাজার ৭৫৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এরমধ্য থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি, বাকি চার জেলায় ৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং ১৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনা সন্দেহে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ভর্তি করা হলেও এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো রোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়ে বিশেষ কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। জর”রি প্রয়োজনে এখানে সন্দেহভাজন রোগীদের পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির

সকল