২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রিফাত হত্যা : আরো ৫ সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত

-

বরগুনার বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আরো পাঁচজন সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শিশু আদালতে ৬৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বরগুনার শিশু ও জেলা জজ আদালতের বিচারক মো: হাফিজুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ জামিল হোসেন, একই মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এসএম মাইদুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সোহেলী মঞ্জুর তন্নী, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার হাসাইন ইমাম ও বরগুনা থানার কনস্টেবল মো: মোসলেহ উদ্দিন। আদালতে সাক্ষীরা যখন সাক্ষ্য দেন তখন হাজতে থাকা সাতজন ও জামিনে থাকা সাত শিশু আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো।

এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ জামিল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি ২৭ জুন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে কর্মরত ছিলাম। আমি ও আমার সহকর্মী মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এসএম মাইদুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সোহেলী মঞ্জুর তন্নী ছিলেন। আমরা তিনজন একমত হয়ে নিহত রিফাত শরীফের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা যখন রিফাত শরীফের ময়নাতদন্ত করি তখন তার শরীরে অসংখ্য কোপের চিহ্ন পাই। কলারবনের নিচে, ঘাড়ে, মাথায় ও বুকের কোপগুলো মারাত্মক ছিল। কোপের আঘাতে রিফাত শরীফ ২৬ জুন মারা যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়। কোপের গভীরতা বেশি ছিল।

একই সাক্ষ্য দেন তার সহকর্মী এসএম মাইদুল ইসলাম ও সোহেলী মঞ্জুর তন্নী।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার হাসাইন ইমাম আদালতে সাক্ষ্য শেষে বলেন, আমি ২৬ জুন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলাম। বেলা অনুমান সাড়ে ১০টায় রিফাত শরীফ নামের এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আসে। তার শরীরে অনেকগুলো কোপের আঘাত ছিল। বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যার কারণে কাটা জখমের উপর ব্যান্ডেজ করে দ্রুত বরিশাল পাঠাই।

আসামিদের পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী সোহরাফ হোসেন। তিনি বলেন, কোন আঘাতের ফলে রিফাত শরীফ মারা গেছে সেই মর্মে ময়নাতদন্তে কোনো মতামত নেই।

সাক্ষী কনস্টেবল মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমি বরগুনা থানায় ডিউটিতে ছিলাম। তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: হুমায়ূন কবির স্যার, নয়ন বন্ডের জন্মদিনের ভাইরাল হওয়া ভিডিও তার কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড করে জব্দ করেন। আমি সেই জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করেছি।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, শিশু আদালতে এ পর্যন্ত ৬৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ জামিল হোসেন ও তার দুই সহকর্মী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রিফাত শরীফের শরীরকে যখন তারা পোস্টমর্টেম করেন, তখন রিফাত শরীফের শরীরে অসংখ্য কোপের আলামত তারা পেয়েছেন। তারা সেই কোপের বর্ণনা দিয়েছে আদালতে। তার দুই সহকর্মীও একমত পোষণ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement