১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রিফাত হত্যা : তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দি চলছে

আসামি মুছা পলাতক
-

বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দ্বিতীয় দিনেও শেষ হয়নি তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দি। এদিনও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করতে পারেনি।

আজ হাজতে থাকা আট আসামি ও জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে আসামি মুছা পলাতক রয়েছেন এবং শিশু আদালতে সাক্ষ্য হয়নি।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেষ সাক্ষ্য বরগুনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: হুমায়ুন কবিরের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে সকালে বরগুনা কারাগারে থাকা এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও হাজির হয়েছেন আদালতে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিন্নির জামিন বাতিল আবেদনের বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও শুনানি হয়নি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দি শেষ হলে আসামিপক্ষের সাতজন আইনজীবী তাকে জেরা করবেন।

আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত ও রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ের আইনজীবী অলি উল্লাহ খান সবুজ বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দি শেষ হলে আমরা জেরা শুরু করবো।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির বলেন, মামলায় আমি তদন্ত করে যা পেয়েছি তা আদালতে বর্ণনা শুরু করেছি। এর বেশি কিছু বলার নেই।

এ বছর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২৫ কার্যদিবসে এ মামলায় ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করার পাশাপাশি শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রয়েছে। এছাড়া গোলাম সরোয়ার নামে এক সাক্ষী প্রবাসে থাকায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারেনি আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ভুবন চন্দ্র হাওলাদার নয়া দিগন্তকে বলেন, ইতোমধ্যেই রিফাত হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রে ৭৫ জন সাক্ষ্য থাকলেও আরো দুইজন আইটি বিশেষজ্ঞকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন।

বুধবার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেষ সাক্ষ্য তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবিরের সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো: মুসা এখনো পলাতক। আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সাতজন আসামি জামিনে রয়েছেন ও বাকিরা কারাগারে।

এবছর ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement