১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোলায় অটোরিকশা থামিয়ে ২ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ

ভোলায় ২ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ভোলায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলছে। চরফ্যাসনে প্র্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনার জের না কাটতেই দৌলতখানে অটোরিকশা থামিয়ে ধরে নিয়ে বিধবা এক নারীকে (৩৫) গণধর্ষণ করা হয়েছে।

ওই নারী একটি ক্লিনিকের কর্মী এবং দুই সন্তানের জননী।

তাকে প্রায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, তারা ধর্ষকদের মধ্যে দুইজনকে সনাক্ত করতে পেরেছে। তবে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ১০টার দিকে ভোলার দৌলতখানের হালিমা খাতুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে।

ওই নারী ভোলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করেন। প্রায় চার বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী মারা যান। ক্লিনিকে চাকরি করেই তিনি সন্তানদের নিয়ে সংসার চালান।

প্রতিদিনের মতো ক্লিনিকের কাজ শেষ করে রাতে একটি অটোরিকশাযোগে ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত প্রায় ১০টার সময় দৌলতখানের হালিমা খাতুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে চার যুবক ওই অটোরিকশাটি থামায়। কথা আছে বলে ওই নারীকে ডেকে তারা কলেজের ভিতরে নিয়ে যান। প্রায় আধাঘণ্টা পর তার ডাকচিৎকার শুনে অটোরিকশার চালকসহ স্থানীয় লোকজন তাকে জামাকাপড় ছেড়া অবস্থায় উদ্ধার করেন।

এদিকে, পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন। কিন্তু ধর্ষকরা তার আগেই পালিয়ে যায়। নির্যাতিত ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়।

রাত ১২টার পর হাসপাতালে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, তিনি চার যুবকের মধ্যে দুই যুবককে চিনতে পেরেছেন। তিনি এঘটনার বিচার চান।

উল্লেখ্য, গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে কুকরী মুকরীর বনে ও ট্রলারে রাতভর পাঁচ যুবক মিলে গণধর্ষণ করে।

ভোলায় গত দেড় মাসে একের পর এক শিশু থেকে শুরু করে যুবতী গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সচেতন মহল। তাই আর যাতে এধরনের ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে তার জন্য এলাকাবাসী অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা: গোলাম রাব্বি চৌধুরী জানায়, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই নারীকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ড বসানো হবে।

দৌলতখান থানা তদন্ত ওসি সাদেকুর রহমান জানিয়েছেন, তারা ইতিমধ্যেই দুই যুবককে সনাক্ত করতে পেরেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement