২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মানতের ছাগলের জন্য বাবুর্চিকে পেটালেন পীরসাহেব

মানতের ছাগলের জন্য বাবুর্চিকে পেটালেন পীরসাহেব - ফাইল ছবি

বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া দরবার শরীফ ইয়াতিমখানার মানতের ছাগল পীর সাহেবকে না দেয়ায় বাবুর্চিকে নৃশংস ও নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে। আহত বাবুর্চি আব্দুল করিম বিচার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যর কাছে লিখিত আবেদন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেতাগীর মোকামিয়া দরবার শরীফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ইয়াতিম খানায় জনৈক ভক্ত মানতের একটি ছাগল প্রদান করেন। ইয়াতিম খানায় আর্থিক সংকট থাকায় পীরসাহেব শাহ মো: মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে না দিয়ে বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে ইয়াতিম খানার জন্য চাল ডাল ক্রয় করেন বাবুর্চি। ছাগল না পেয়ে দরবার শরীফের গদ্দীনিশি পীর ও মোকামিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ মো: মহমুদুল হাসান ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াতিমখানার বাবুর্চি আব্দুল করিমকে তার রুমে ডেকে নেন। বাবুর্চিকে পীরসাহেব তার পায়ের কাছে মাটিতে বসিয়ে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটান। এতে বাবুর্চি মারাত্মকভাবে আহত হন। ভবিষ্যতে এহেন কাজ করলে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন। পরে আহত বাবুর্চি আব্দুল করিম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। ইয়াতিমখানায় আগত মানতের মোড়গ, ছাগল ও গরু পীরসাহেবের বাসায় দেয়ার অন্যায় রেওয়াজ আছে।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে ৮ অক্টোবর আব্দুল করিম বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন’র বরাবরে আবেদন করেন। আবেদন পাওয়ার পর এমপি রিমন মোকামিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭ টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেযর এবিএম গোলাম কবির ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান প্রমুখ।

সাংবাদিক সম্মেলনে এমপি রিমন বলেন, বাবুর্চিকে পিটানোর ঘটনায় আমি নিন্দা জানাচ্ছি। একজন পীরসাহেবের পক্ষে এমন জঘন্য কাজ কারা ঠিক হয়নি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু’ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। সকলের সহযোগীতা পেলে এ দরবার ও মাদ্রাসার দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। দরবারে টাকায় পীরসাহেব আলিসান বাড়ী বানিয়ে জীবন যাপন করছেন অথছ দরবারের মসজিদটি আজও জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। পীরসাহেব সব সময় ব্যাক্তিগত আরাম আয়েশে ব্যস্ত থাকায় মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের খোঁজ রাখেন না।

এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত পীরসাহেব শাহ মো: মাহমুুদুল হাসান ফেরদৌস মুঠোফোনে বলেন, আমার মুরীদের সাথে অমাার বিষয়ে অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করায় তাকে জিজ্ঞাসা করেছি এবং ধমক দিয়েছি। আমি তাকে মারব কেন। মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।


আরো সংবাদ



premium cement