২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মাইকিং করে গভীর রাত পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি

- ছবি : সংগৃহীত

মঙ্গলবার মাইকিং করে গভীর রাত পর্যন্ত গলাচিপায় বিভিন্ন স্থানে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হয়েছে। গলাচিপা পৌরসভার থানার সামনে, বদনাতলী ও পানপট্টির লঞ্চঘাট এলাকায় হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভীড় দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞার আগের দিন পর্যন্ত জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। বাজার গুলোতে ইলিশ মাছে সয়লাব। তবুও দাম কমেনি।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ৩০ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২২ দিন বিভিন্ন অববাহিকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস বিভাগ। জাতীয় মাছ ইলিশের ভরা প্রজাননে ডিমওয়ালা মাছ সংরক্ষনে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একই সাথে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মোটর সাইকেল চালক আলামিন ও রাহাতসহ অনেক জানায়, মঙ্গলবার গলাচিপা উপজেলায় হাজী আ: ওহেদ মাইকিং করে অল্প দামে মাছ কেনার জন্য পানপট্টি লঞ্চঘাটে আহ্বান করে। হাজার মানুুষ মাছ কিনতে সেখানে ভীড় জমায়। ফলে সকালের চেয়ে সন্ধ্যায় অস্বাভাবিক দামে মাছ বিক্রি হয়।

পানপট্টিতে হাজী আঃ ওহেদ, দুলাল, শামীম সহ অনেকে ডাকের মাধ্যমে চড়া দামে মাছ বিক্রি করেছে। এতে অনেকে ১০-১৫ কিমি দূরে পানপট্টিতে গিয়ে নিজের সাধ্য দামে মাছ কিনতে না পেরে খালি হাতে ফিরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেখানে মানুষের তুলনায় মাছ ছিল কম। মাইকিং করায় অনেক লোকের সমাগম হওয়ায় প্রতারনার শিকার হয়েছে বলে অনেকেই জানায়।

হাজী আঃ ওহেদ জানায়, গলাচিপা থানার ক্যাশিয়ার রফিককে মৌখিক ভাবে জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানায়, প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত মাইকিং করে লোক জমায়েত করা খুব অন্যায় এবং হাজী আঃ ওহেদ কেন মানুষের সাথে প্রতারনা করল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement