২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পাথরঘাটায় ১২ জেলেকে পিটিয়ে আহত, নিখোঁজ ১

-

বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এফবি আল্লাহর দান নামের একটি মাছ ধরা ট্রলারে ১২ জেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে খালে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আল অমিন (৩০) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। আহতদের মধ্যে কবির মাঝি ও মাছুমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ২ টার দিকে পাথরঘাটা পৌরশহরের ৬নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

এফবি আল্লাহরদান ট্রলারের মালিক আলহাজ্ব আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে এসে সকালে বিএফডিসি ঘাটে মাছ বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ট্রলার নোঙর করার সময় পাশে থাকা মিজান মল্লিকের মালিকানা এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় বরগুনা জেলা ফিসিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সস্পাদক দুলাল মাস্টার পরিস্থিতি শান্ত করেন। মাছ বিক্রি করে ট্রলারটি তালতলা ব্রিজের পাশের ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর ওই ঘটনার জের ধরে মিজান মল্লিকের ছেলে তান্না মল্লিকসহ ভারাটে সন্ত্রসী বাহিনী লোহার পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে ১২ জনকে আহত করে। এসময় কয়েকজন জেলে ট্রলার থেকে ছিটকে খালে পরে। পরে আল আমিন নামের একজন জেলে নিখোঁজ হয়। এর কিছুক্ষণ পরে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পাথরঘাটায় আসলে আবুল হোসেন ফরাজী তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এসময় সাথে থাকা পাথরঘাটা ওসি শাহাবুদ্দিনকে ঘটনার বিষয়ে দ্রুত মামলা নিয়ে আইনগত মামলার নেয়ার নির্দেশ দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ট্রলার মালিক রফিক মিয়া জানান, এই মিজান মল্লিকের ট্রলারের জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করতে গেলে অন্য জেলেদের সেই স্থান থেকে চলে যেতে হয়, এরকম গত ৮ সেপ্টেম্বর সাগরে মাছ ধরার সময়ে আমার ট্রলারের জেলেদের উপরে ইট নিক্ষেপ করে তারা।

এবিষয়ে মিজান মল্লিক মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে মারধর করেনি তবে আবুল হোসেন ফরাজীর ট্রলারের জেলেরা আমার ট্রলারে ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে, আবার আমার জেলেদেরকেও মারধর করেছে। আমি ট্ররার মালিক সমিতির সভাপতিকে জানিয়েছি।

এদিকে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি আবুল হোসেন ফরাজীর ট্রলারের ১২ জেলেকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর ও আল আমিন নামের এক জেলেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ট্রলার মালিক সমিতিরি সহসভাপতি আলম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মাসুম কোম্পানি বলেন, গত বছরও এই বাহিনী অপর এক ট্রলারের জেলেদের মারধর করেছে। সে সময় সমিতিরি পক্ষ থেকে সমাধান করার চেষ্টা করলেও তান্না মল্লিকের কারণে ব্যর্থ হই।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) শাহাবুদ্দিন বলেন, জেলেদের মারধরের কথা শুনেছি। এসপি মহোদয়ের কাছে মৌখিক অভিযোগ করায় তিনি মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন। লিখিত অভিযোগ পেলেই দ্রুত আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement