২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা : শিকল বন্দি কিশোরী উদ্ধার

- ছবি : সংগৃহীত

হাফছা আক্তার নামে সতেরো বছরের এক কিশোরীকে গত তিন দিন ধরে গরু বাঁধার শিকল দিয়ে পা বেঁধে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে তার নানী, খালা ও মামাসহ অন্যান্য আত্মীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিন ভাইজোড়া গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া গ্রামের আবুল হোসেন এর মেয়ে, সে লেমুয়া মাদরাসায় দাখিলের শিক্ষার্থী। বুধবার  বিকালে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনান্থলে উপস্থিত হলে পরিবারের লোকজন তাকে শিকল মুক্ত করে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এটা পরিবারের লোকজন মানতে রাজি নয়। গত রবিবার ওই ছেলের সাথে ঘর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান তাদের বিয়ে পড়ানোর আশ্বাস দিলে সে পালানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করে। মেয়েটির মা ও বাবা এলাকায় না থাকায় তিনি ওই কিশোরীকে দক্ষিন ভাইজোড়া গ্রামের তাঁর নানী হসিনা বেগম ও খালা হনুফা বেগমের জিম্মায় দেন। কিন্তু যাদের জিম্মায় ওই কিশোরীকে রাখা হয়েছে তারা গত রবিবার থেকে গত বুধবার এই তিনদিন পর্যন্ত গরু বাঁধার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তার পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়।

কিশোরীর মা নুর জাহান বেগম বলেন, আমার মেয়ে এখনো অবুজ। ও যে ছেলেটিকে পছন্দ করেছে ওই ছেলেটি মাদক মামলার আসামী। ছেলেটির পূর্বে একটি বিয়েও করেছে। তাই ওর সাথে আমার মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে দিবো না। তাতে যদি ওকে কেটে ভাষিয়ে দিতে হয় তাই দিবো।

এ বিষয়ে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। সে এক মাদক মামলার আসামীর সাথে ঘর ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলো। আমি তাকে উদ্ধার করে তার নানী ও খালার জিম্মায় দেই। তারা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে অন্যায় করেছে। এটা করা তাদের ঠিক হয়নি।

বামনা থানার ওসি এসএম মাসুদুজ্জামান বলেন,  বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement