২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাস খেলতে বাধা দেয়ায় নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা, আটক ৯

- প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের নির্মাণাধীন সড়কের পাশে একটি নালা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাস খেলায় বাধা দেয়ায় অন্য শ্রমিকরা তাকে মারধর করে মাথা মাটিতে পুতে হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

নিহত শ্রমিকের নাম আলিম হাওলাদার (১৮)। সে ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় নির্মাণ কাজে নিয়োজিত নয় শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা সোনাপুর সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করেন আলিম হাওলাদারসহ ১০জন শ্রমিক। কাজ শেষে শুক্রবার রাতে সোনাপুর শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা ব্যারাকে সবাই ঘুমাতে যায়। এসময় অন্য শ্রমিকরা তাস খেলার কারণে ঘুমে সমস্যা হয় আলিম হাওলাদারের। তিনি অন্য শ্রমিকদের তাস খেলতে নিষেধ করেন।

এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাকে অন্য শ্রমিকরা মারধর করে পাশের একটি নালায় মাটিতে মাথা পুতে হত্যা করে। আলিম নিখোঁজ হয়েছে বলে শনিবার সকাল থেকে প্রচার করেন শ্রমিকরা।

খবর পেয়ে তার স্বজনরা রাজপাশা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। বিকেলে সোনাপুর এলাকার একটি নালায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের চাচা মনির হোসেন হাওলাদার অভিযোগ করেন, তাস খেলায় বাঁধা দেয়ায় আমার ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে মাটিতে পুতে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাস খেলা নিয়ে ঝগড়ার খবর আমাদের কাছে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে শেখেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় ওই শ্রমিকের নাক থেকে রক্ত ঝরছিল, তার গলায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ঝালকাঠি থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement