১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
৫ শতাধিক ব্যবসায়ী বেকার

আদমদীঘিতে পোনামাছের বাজারে দুরবস্থা

মৎস্য উৎপাদনে পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মৎস্যচাষি ও ব্যবসায়ীদের এখন দুরবস্থা : নয়া দিগন্ত -

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মৎস্যচাষি ও ব্যবসায়ীদের এখন দুরবস্থা চলছে। এ কারণে এ ব্যবসার সাথে জড়িত পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী এখন বেকার হয়ে পড়ছেন। আদমদীঘি উপজেলা সদরের পাবলিক লাইব্রেরিসংলগ্ন ৫৭ শতক জায়গায় ১৯৯০ সালে ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি নামের একটি সংগঠন পোনা মাছের বাজার প্রতিষ্ঠা করে। ধীরে ধীরে বাজারটি বৃহৎ আকারে প্রতিষ্ঠা পায়। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এ বাজারে কয়েক লাখ টাকার পোনা বেচাকেনা হয়।
কিন্তু বর্তমানে এ বাজারে পোনা মাছের আমদানি নেই বললেই চলে। এতে করে ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী ও পোনামাছ চাষিরা বেকার হয়ে পড়ছেন।
জানা গেছে, পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ৮০টি হ্যাচারি রয়েছে। এসব হ্যাচারিতে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প, গ্রাসকার্প, ব্লাককার্প, বিগহেড, থাইসরপুঁটি, সরপুটি, জাপানি, মিররকার্প, মনোসেক্স তেলাপিয়া, তারাবাইন, মাগুর, বিগহেড মাগুর, কৈ, দেশী-বিদেশী শিং, পাঙ্গাস, চিতল, আইল, গোলসা ট্যাংরা, পাবদা ইত্যাদি মাছের রেণু পোনা উৎপাদন করা হয়। এসব উৎপাদিত রেনু পোনা এ বাজারেই বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এ বাজারে এসে পোনামাছ কিনে নিয়ে যায়।
আদমদীঘি ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় রেণু পোনা উৎপাদনে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ ছাড়াও বিরূপ পরিবেশ পড়ে বাইরের পাইকাররাও পোনামাছ কিনতে এ বাজারে আসছেন না। এতে করে পোনা ব্যবসায়ীরা পরিবারপরিজন নিয়ে চরম দুরবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement