বগুড়ায় একই জমি ২ জনের কাছে বিক্রি
- বগুড়া অফিস
- ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বগুড়ায় একই জমি দু’জনের কাছে বিক্রি করায় পাঁচ বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন রেজাউল নামে এক ক্রেতা।
রচনার প্রতারণার শিকার হয়ে রেজাউল নামের এক যুবক ৫ বছর ধরে হয়রানি শিকার হচ্ছেন। রচনা তার মায়ের বিক্রীত জমি অন্যায়ভাবে গোপনে অন্যের কাছে বিক্রি করায় রেজাউল এ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী রেজাউল বগুড়া সদরের চারমাথা এলাকার দক্ষিণ গোদারপাড়ার মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
জানা গেছে, বগুড়া সদরের চারমাথা এলাকার দক্ষিণ গোদারপাড়া গ্রামের আব্দুল বাছেত মিস্ত্রি জীবিত থাকতে স্ত্রী আমেতুন নেছা এবং পালিত কন্যা রচনা খাতুনের নামে কিছু জমি লিখে দেন। রচনা তার ভাগের অংশ বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করেন। মায়ের অংশও বিক্রি করেন ভিন্ন মানুষের কাছে। এমনই একটি জমি আমেতুন নেছার কাছ থেকে কিনে নেন একই গ্রামের যুবক রেজাউল করিম। মা এবং মেয়ের যৌথ মালিকানাধীন ১৪ শতাংশ জমি থেকে মা আমেতুন নেছা জীবিতকালে তার অংশের ৭ শতাংশ দলিল করে দেন রেজাউলকে। দলিলের ঘটনা ২০১৮ সালে। সেই জমি রেজাউল তার নামে খারিজ করতে গিয়ে দেখেন সাড়ে ৫ শতাংশ জমি ঠিক আছে। বাকি দেড় শতাংশ জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে রচনা খাতুন অন্যের কাছে বিক্রি করেছেন। ফলে রেজাউল তার ক্রয়কৃত ৭ শতাংশ খারিজ করতে পারেননি।
পরে রচনার প্রতারণা বিচার চেয়ে রেজাউল আইনের আশ্রয় নেন। এদিকে একই জমির অপর ক্রেতা মোহন মিয়ারা যখন বুঝতে পেরেছেন তাদের দলিলের ভিত্তি নেই, তখন জমিদাতা রচনার নামে প্রতারণার মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে রচনা গা ঢাকা দেয়।
এ নিয়ে মোহন মিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযুক্ত রচনার সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা