বিআরটিসি পরিবহন যেন ঘাড়ের ওপর বিষফোঁড়া
- শফিকুল আলম ভূইয়া রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
- ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা-গাউছিয়া ও কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসি পরিবহন যেন ঘারের ওপর বিষফোড়ের আকার ধারণ করেছে। চালক হেলপারসহ লিজ পার্টির অত্যাচারে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়ছেন। কুড়িল-পূর্বাচল এক্সপ্রেস রোডে বিআরটিসি আর্টিকুলেটেড বাসের লিজকারী জিল্লুর রহমান, ম্যানেজার মাসুদ, কাউন্টার ম্যান ও লাঠিয়াল বাহিনীর হাত থেকে স্বস্তি চায় সাধারণ যাত্রীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, রূপগঞ্জের একমাত্র গণপরিবহন বিআরটিসি। ভুলতা-গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত চলে এই পরিবহনটি। এই বাস সার্ভিস চালু হওয়ার সময় সবার ধারণা ছিল এতে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতে সুবিধা হবে এবং অল্প টাকায় ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু এখন সেই বাস সার্ভিস সাধারণ মানুষের জন্য যেন ঘাড়ের ওপর বিষফোঁড়ের রূপ নিয়েছে।
এই পথে যাতায়াতকারী এক ব্যক্তি জানান, যেখানে কুড়িল থেকে গাউছিয়া বাস ভাড়া হওয়ার কথা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সেখানে বিআরটিসি বাসের ভাড়া দিতে হয় ৬০ টাকা করে। অথচ এই একই ভাড়ায় সিএনজিতে চলতে পারে সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু এখানেও বাধা দেয় বিআরটিসির লাঠিয়াল গুণ্ডাবাহিনী। তারা যাত্রীদের সিএনজিতে যেতে দেবে না। কুড়িল থেকে কোন সিএনজি ড্রাইভার যদি যাত্রী ওঠায়, তাহলে তাদের ধরে সেখানেই বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয়। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
ইদানীং আর লাঠিয়াল বাহিনী নয়, জিল্লুর রহমান খোদ পুলিশ পাহারায় রেখেছে বিআরটিসি কুড়িল কাউন্টারে। সিএনজি চালকদের এখন লাঠিয়াল দিয়ে নয় খোদ পুলিশ দিয়ে শুরু হয়েছে হয়রানি। কাউন্টারের আশপাশে সিএনজি দাঁড়ালেই পুলিশ গিয়ে গাড়ি আটকে দেয় এবং নানাভাবে হয়রানি করে। এ কারণে বিআরটিসি বাসের প্রতি যাত্রীদের অনীহা ও যাত্রী সঙ্কট তৈরিসহ বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
বাসযাত্রীদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া সর্বনিম্ন ১০ টাকা। সেখানে তারা নিচ্ছে ২০ টাকা। সরকার নির্ধারিত প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা হিসাবে কুড়িল থেকে ভুলতার ভাড়া ৪৯ টাকা। সেটিও মানা হচ্ছে না। তাছাড়া কুড়িল পূর্বাচল এক্সপ্রেস সড়কে রাত ৮টার পর বিআরটিসির বাস পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে বাসের যাত্রীরা বেশি টাকা খরচ করে বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে যেতে হয়।
সম্প্রতি বিআরটিসি লিজ পার্টি জিল্লুর সন্ত্রাসী বাহিনী ও কর্মচারী কর্তৃক গ্রিন ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনার সূত্র ধরে গাউছিয়া-কুড়িল হাইওয়ে সড়কটি অবরোধ করের ছাত্ররা। অবশেষে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআরটিসি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে তা সমাধান করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন দফতরে প্রতি মাসে একটা মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দেয়া হয়। সে কারণে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা বেশি নেয়া হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম অপারেশন শুকদেব ঢালী বিআরটিসির পিআরওর নাম্বার দিয়ে বলেন, আমরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছি এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে লিজ পার্টি জিল্লুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা