গ্রামগঞ্জে এখন আর দেখা মেলে না মুরমুরি গাছের
- ভূঁইয়া কামাল মুলাদী (বরিশাল)
- ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বরিশালের মুলাদী উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে পানকি-চুনকি বা নোনতা ফল বিলুপ্ত ফলের মধ্যে অন্যতম একটি। এটি একটি বন্যফল। এ ফলের গাছ শুধুমাত্র গ্রামের বন-জঙ্গলে হয়ে থাকে। এ ফলের সাথে ছোটবেলায় অনেকেই পরিচিত, তবে এখন এটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমাদের গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে মুরমুরি বলে।
এক সময় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাগানে এ ফল পাওয়া যেত। এ মৌসুমে শহুরে ভ্রাম্যমাণ দোকানে দেখা মিলতো। কালের বিবর্তনে এখন আর তেমন দেখা পাওয়া যায় না। এলাকায় ঘনবসতি হওয়ায় ঘরবাড়ি করার কারণে ঝোপ-জঙ্গল উজাড় হওয়ায় গ্রামেও গাছের সংখ্যা কমে গেছে। গ্রামের বাগানে হাতে গোনা কয়েকটা গাছ আছে মাত্র।
এটা টক ও মিষ্টি স্বাদের গোটা দানা-জাতীয় ফল। থোকায় থোকায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ফল ধরতে শুরু করে এবং জুন মাসের মধ্যবর্তী সময়ে পাকতে শুরু করে।
মুলাদী পৌর এলাকার জুলহাস হাওলাদারের বাড়ির বাগানের মুরমুরি গাছটি লাল টুকটুকে ফলে রঙিন হয়ে আছে। গাছের ডালগুলো নরম হওয়ায় ফল পাড়তে গিয়ে ডাল ভেঙে সামসুন নাহার নামে এক ছোট মেয়ের দু’হাত ভেঙে গেছে। গাছটি তেমন কোনো উপকারে লাগে না তাই গাছ কেটে ফেলা হয়।
গাছের ডালের পাতার একদম অগ্রভাগে থোকায় থোকায় হয়ে থাকে এ ফল। জঙ্গলের প্রায় সব পাখি এ ফল খায়। কাঁচা অবস্থায় এ ফল সবুজ। পাকার শুরুতে লালচে এবং পুরোপুরি পেকে গেলে কালচে লাল রঙের হয়।
থোকার মধ্যে কাঁচা ও পাকা ফলের পার্থক্য বোঝা যাচ্ছে। কাঁচা অবস্থায় খুব টক স্বাদের এবং পরিপক্ব হলে মিষ্টি টক স্বাদ লাগে। এ ফল পাটায় পিষে লবণ মরিচ দিয়ে মেখে খেলে বেশ স্বাদও লাগে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা