১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগেই সাগরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন জেলেরা

ট্রলার মালিকদের হয়রানির শিকার মৎস্যজীবীরা
-

বোট বা ট্রলার মালিকদের হাতে নানা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলের মৎস্যজীবীরা। বেশির ভাগ শ্রমিক অসহায় ও অক্ষরজ্ঞানহীন হওয়ায় সুযোগ নিচ্ছে মালিকপক্ষরা। সাগরে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞার সীমা পার না হতেই সাগরে যেতে জেলেদের বাধ্য করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ ভুক্তভোগী শ্রমিকদের।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে বোট মালিকদের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার গভীর সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বিহিন্দী জাল বোট মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি সংগঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বোট মালিকপক্ষের সৃজিত ২৪৪৪ নং ফরমের চুক্তির শর্তগুলোর বেশির ভাগ অংশই আমানবিক, শ্রম আইনেরও পরিপন্থী, যে কারণে শ্রমিকদের কপালে জুটে কল্যাণের তুলনায় অকল্যাণ।
চকরিয়া উপজেলার বরইতলীর শরীফ বাদশা বলেন, ৯ মাস ১৫ দিনের জন্য আমাদের সাথে চুক্তি করে, অথচ মৎস্য আহরণে নিষিদ্ধ সময়গুলোর বেতন কেটে নেয়, যা বড়ই অমানবিক। ৯ মাস ১৫ দিনে আমার মোট বেতন ৩ লাখ টাকা। বন্ধের দিনগুলোর জন্য প্রতি হাজারে ২০ টাকা করে মূল বেতন থেকে ২২ দিনে কেটে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৯ মাস ১৫ দিনের চুক্তি করা হলেও আমরা এ সময় পাই না। অসুস্থতার কারণে সাগরে যেতে না পারলে মূল বেতন থেকে প্রতি হাজারে ২০ টাকা করে ১০ দিনে ৬০ হাজার টাকা বেতন কেটে নেয়।
শ্রমিক তৌহিদ বলেন, আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু মালিকপক্ষ মৎস্য বিভাগের সাথে আঁতাত করে আমাদের সাগরে যেতে বাধ্য করছে। এ সময় আমাদের ক্ষতি হলে দায় কে নেবে? বোট মালিকরা যা ইচ্ছে তাই চুক্তি সৃজনপূর্বক শ্রমিকদের নির্যাতন করে যাচ্ছেন। আমি এ বিষয় সামূদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বিহিন্দী জাল বোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক বরাবরে আইনি নোটিশ দিয়েছি। আমরা এ অনিয়ম ও নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ চাই।
এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি সেলিমউল্লাহ বলেন, যে শ্রমিকের সাথে বোট মালিকের সমস্যা হয়েছে সেই বোট মালিক আমাদের সমিতির সদস্য নন এবং সে দেউলিয়া। নিষিদ্ধ সময়সীমা পার না হতে এখন থেকে কেন শ্রমিকদের সাগরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগের জবাব চাইলে তিনি অফিসে এসে যোগাযোগ করার কথা বলে ফোন কেটে দেন।


আরো সংবাদ



premium cement