১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মেঘনায় অবাধে চলছে গলদার পোনা শিকার

প্রতিদিন অন্তত ১০টি পিকআপে রেণু পোনা বিক্রি হচ্ছে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায়।
-

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীতে অবাধে চলছে গলদা চিংড়ির পোনা শিকার। এতে ধ্বংস হচ্ছে নদী ও সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাসহ জীববৈচিত্র। অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে গলদা, ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অসাধু জেলেরা অবাধে নিধন করছেন এসব গলদা চিংড়ির পোনা। মৎস্যজীবীরা প্রকাশ্যে গলদা চিংড়ির পোনা আহরণ ও বিক্রি করলেও কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না রামগতি উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার চরআলগী ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন ও বড়খেরী ইউপি সদস্য জমির উদ্দিনসহ মনির মাঝির নেতৃত্বে মেঘনা নদীর ওছখালী মাছঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নির্বিচারে শিকার করছেন গলদা চিংড়ির পোনা। প্রতিদিন অন্তত ১০টি পিক-আপে এসব রেণু পোনা খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বিক্রি করছেন তারা। এতে দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার পোনা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা অভিযোগ, গলদা চিংড়ির মহাজনরা নদীর পাড়ে জমি ও ঘর ভাড়া নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীরা অগ্রিম ঋণ ও অর্থের লোভ দেখিয়ে জেলেসহ শিশু-কিশোরদের দিয়ে পোনা শিকারে উৎসাহী করে তুলেছেন। তারা আরো জানান, প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র জেলেদের দাদন দিয়ে অবাধে এসব মাছের পোনা নিধন করছেন।
পোনা শিকারে জড়িত চরআলগী ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দীন বলেন, একসময় তিনি এ ব্যবসা করলেও এখন তিনি জড়িত নন। তবে শেখ কামাল, মোমিন ব্যাপারী, শ্যামল, হেলাল উদ্দীন, মনির মাঝি ও শ্রমিক লীগের জামাল উদ্দীন এ ব্যবসা করছেন বলে জানান তিনি।
বড়খেরী ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি আর মোবাইল ফোনে কথা না বলে লাইন কেটে দেন। রামগতি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, এ সময়ে এগুলো ধরার কথা নয়। আপনি যেহেতু বলছেন সেহেতু অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement