১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কাউখালী উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই চিকিৎসক

রোগীদের দুর্ভোগ চরমে
এক বেডে দুই-তিনজন রোগী ভর্তি করে রাখা হয় : নয়া দিগন্ত -

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সঙ্কট ও ভর্তি রোগীর বেডের অভাবে চিকিৎসা সেবা বিঘœ হচ্ছে। উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। অস্থায়ী ভবনে চিকিৎসা সেবা চলছে। পুরাতন ভবন ভেঙে পড়ার পর, ভবনটি একের পর এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছরেও নতুন ভবনের কাজ হতে পারেনি। বর্তমানে অস্থায়ী ভবনে চিকিৎসা, জরুরি সেবা, রোগী ভর্তি ও অফিসিয়াল কার্যকলাপ চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন মেডিক্যাল অফিসারের পদ থাকলেও আছেন মাত্র তিনজন।
এ চিকিৎসকের কেউ কেউ ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণে চলে যান। তখন বাকি একজন কিংবা দুইজন চিকিৎসক দ্বারা পুরো চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হয়।
এ দিকে কাউখালী হাসপাতালে বর্তমানে কোনো ভবন না থাকায় অস্থায়ী হাসপাতালের ভবনে মাত্র ২০ রোগীর বেডের জায়গা রয়েছে। ফলে এক সিটে দুই-তিনজন রোগী থাকায় দুর্ভোগের শেষ নেই। হাসপাতালে ভর্তি রোগী হাফিজা বেগম বলেন, ‘হাসপাতালে ডাক্তারও নাই। আমি অসুস্থ হইছি, কোথায় চিকিৎসা নিমু, কোথায় যামু। গরিব মানুষ, তাই আমাগো যাওয়ার জাগাও নাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারজানা মুনমুন বলেন, অস্থায়ী ভবনে রোগীদের চিকিৎসা সেবার কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। রোগী বেশি হলে এক বেডে একাধিক রোগীকে থাকতে দিতে হয়। জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সুজন সাহা বলেন, অস্থায়ী ভবনে ঝুঁকির ভিতরে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। ডা. সঙ্কট থাকায় সেবায় কিছুটা বিঘœ ঘটছে। স্থানীয় এমপি নিজস্ব অর্থায়নে একটি টিনশেড বিল্ডিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, কাউখালীতে ডাক্তার সঙ্কট রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement