সোনাতলায় বৃষ্টি হলে কাদায় রাস্তা একাকার
- মিনাজুল ইসলাম সোনাতলা (বগুড়া)
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার মাঝে হাঁটু সমান কাঁদা আর পানি জমে থাকায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাঁদায় একাকার হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন ওই এলাকাগুলোর হাজার হাজার মানুষ। এমন দৃশ্যের দেখা মেলে সোনাতলার উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কোয়ালিপাড়া, নুরালপটল এবং পাঠানপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাঠানপাড়া গ্রামের পাকারমাথা হতে চারমাথা মোড়, কোয়ালিপাড়া এবং নুরালপটল গ্রামে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কগুলোতে কাঁদায় ভরপুর। আর ওই তিন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তাদের হাঁটু সমান কাঁদা মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হয়। তিন গ্রামের মানুষের আতঙ্ক ও ভয়ের নাম বৃষ্টি। বৃষ্টিতে রাস্তা কাঁদায় একাকার হওয়ায় গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয় এলাকাবাসীর।
স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী এবিএম নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকারের উন্নয়ন থেকে আমরা নুরালপটল গ্রামবাসী বঞ্চিত। কত সরকার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আসে আর যায়, কিন্তু আমাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাগবে কেউ এগিয়ে আসে না। অনেকেই কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
কোয়ালিপাড়া গ্রামের ওসমান মিয়া ও মাওলানা মহিদুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে অনেক কষ্ট হয়। হেঁটে চলাচল করাও দায়। বৃষ্টির দিনে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স এখানে ঢুকতে পারে না। অনেক সময় রোগীকে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করতে হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর ইসলাম জানান, রাস্তার কাজের জন্য তালিকায় নাম দিয়েছি। ওই গ্রামের রাস্তার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল হক বলেন, ওই এলাকার কাজ করতে হবে এলজিইডির মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মের মধ্যে পড়লে কাজ করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা