নাজিরপুরে সবজির ভাসমান বেড তৈরিতে ব্যস্ত কৃষকরা
- আল আমিন হোসাইন নাজিরপুর (পিরোজপুর)
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বিলাঞ্চলে ভাসমান বেড তৈরির কাজে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পানি বাড়ার সাথে কৃষকদেরও কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। উপজেলার কলারদোয়ানিয়া, পদ্মডুবি, মনোহরপুর, দেউলবাড়ি, সোনাপুর, বিলডুমরিয়াসহ বিভিন্ন বিলের কৃষকরা ব্যস্ত থাকেন এ সময়। ভাসমান বেডের উপর উৎপাদিত সবজি নিয়েই ঐতিহ্যবাহী বৈঠাকাটায় এ ভাসমান সবজির বাজার মেলে।
ভাসমান সবজি চাষি সেলিম ফকির জানান, কচুরিপানার ঘন, লম্বা ও পুরস্তরের উপর একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের বাঁশ ফেলে এ বেড তৈরি করা হয়। এরপর কচুরিপানা এনে বাঁশের ওপর স্থরে স্থরে সাজাতে হয়। পরবর্তীতে অর্ধেক স্তর সজানোর সময় কচুরিপানা উল্টো করে সাজাতে হবে অর্থাৎ এর শিকড় উপরের দিকে থাকতে হবে। এরপর স্তূপের উপরে মাপ অনুযায়ী ধাপ তৈরি করতে হবে। ধাপের উপরের অংশে ছোট কচুরিপানা, খুদিপানা, টোপা পানা দেয়া ভাল।
কৃষক নেয়ামাতুল্লাহ জানান, ভাসমান বেড তৈরির পর উপরিভাগ আবাদ উপযোগী হতে প্রায় ১৫-২০ দিন সময় লাগে। বেড তৈরির পর তাতে সারি করে সরাসরি বীজ বোনা যায়। আবার বল বা বিড়ায় তৈরি করা চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে রোপণ করা যায়। আদা, হলুদ, কচু প্রভৃতি ফসল সরাসরি রোপণ করা যায়। চারা ৫-৬ ইঞ্চি হলে এবং শিকড়ের মাথা বল থেকে বের হলেই বেডে লাগাতে হবে। নতুন আস্তরণের সাথে ১-২ চা চামচ জৈব সার প্রয়োগ করলে চারা তাড়াতাড়ি বাড়বে। অধিক ফলন পাওয়ার জন্য ভাসমান বেডে ঢেঁড়শ, টমেটো, বেগুন, কলমিশাক ইত্যাদি ফসলের সাথে আন্ত-ফসল ও মিশ্র ফসল হিসেবে ঝিঙ্গে, লালশাক, পুঁইশাক, ধনিয়া, ডাঁটা প্রভৃতি চাষ করা যায়।
নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুচ্ছে এশা বলেন, ভাসমান বেডে সবজি উৎপাদনকারী কৃষকদের আমার দফতর থেকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের সবজি ও মশলা প্রদর্শনী দেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা