১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ধনবাড়ীতে বারোমাসি সজনে চাষ শুরু

নিজের সজনে বাগানে রেজাউল করিম : নয়া দিগন্ত -

প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় শুরু হয়েছে থ্রি-স্ট্রার জাতের উচ্চ ফলনশীল বারোমাসি সজনে চাষ। সজনে শীতকালীন সবজি হলেও এখন থেকে এটি ফলবে সব মৌসুমেই। ভেষজ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সজনের ডাঁটা বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। উপজেলার মুশুদ্দি মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা রেজাউল করিম (আব্দুল হক) বছরজুড়ে এই সজনের চাষ শুরু করছেন। ৪০ শতক জমিতে সজনে বাগান করছেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও উদ্যানতত্ত্ববিদ কার্যালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, বারোমাসি সজনের গাছ দ্রুত বাড়ে। চারা রোপণের সাত থেকে আট মাসেই ডাঁটা ধরে এবং সারা বছরই ডাঁটা সংগ্রহ করা যায়। তেমন কোনো পরিচর্যাও লাগে না। থ্রি-স্ট্রার জাতের সজনে খেতেও সুস্বাদু। পূর্ণবয়স্ক একটি গাছে দেড় হাজারের অধিক ডাঁটা হয়। ১০টি থেকে ১২টি ডাঁটায় এক কেজি ওজন হয়। বিঘাপ্রতি (৩০ শতক) জমিতে ৯০-১০০টি চারা রোপণ করা যায়।
সজনে চাষি রেজাউল করিম বলেন, চারা লাগানোর আট মাস পর থেকেই গাছের ডগায় ডগায় সজনের ডাঁটা আসে। রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে। প্রতি বিঘা সজনে বাগান করতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি কেজি সজনে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে পাইকাররা বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যায়। একটি গাছের গড় আয়ু ১০ থেকে ১২ বছরের মতো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, সজনে একটি সুপার ফুড। সজনের পাতাও অত্যন্ত উপকারী। জেলা খামারবাড়ী টাঙ্গাইলের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেজাউলের বাগানটি পরিদর্শন করছেন। যদি কোনো কৃষি উদ্যোক্তা এ জাতের সজনের চাষ করতে চান, তা হলে আমরা সব ধরণের সহযোগিতা করব।

 


আরো সংবাদ



premium cement