রামগতিতে সরকারি কোয়ার্টার সংস্কার কাজে দুর্নীতি-লুটপাট
- রেজাউল হক রামগতি (লক্ষ্মীপুর)
- ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:১১
লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের সরকারি কোয়ার্টার (মেঘনা ভবন) সংস্কার কাজে ভয়াবহ দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজ সম্পন্ন না করেই প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। অথচ এখনো সম্পূর্ণ কাজ বাকি রয়েছে। এর সাথে উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা ও ইউএনও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে এ প্রতিবেদকের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কাজ না করেই বিল উত্তোলন কিভাবে সম্ভব, এ বিষয় জানতে গিয়ে দায়িত্বশীলদের মতামত ভিন্ন। কাজ পাওয়া ঠিকাদার বলছেন এখনো তিনি কোনো বিল পাননি। আর উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন যতটুকু কাজ করছেন ততটুকুর বিল তিনি দিয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বলছেন ইতোমধ্যে ২৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন ঠিকাদার মিঠু। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে সরেজমিনে তদন্তে যান এ প্রতিবেদক।
তদন্তে গিয়ে দেখা যায়, রামগতি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়টি পুরাতন হওয়ায় এটি উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সংস্কার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কাজের ধরন হিসেবে ধরা হয় টাইলস, দরজা-জানালা ও রঙ। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে দেখা গেছে, সামান্য কিছু টাইলস বসানো হয়েছে। এখনো কোনো দরজা-জানালা লাগানো হয়নি। বাইরের অংশে সবেমাত্র ঘষামাজা করা হয়েছে। এতেই প্রকল্পের কাজ শেষ করে বিল তুলে নেন ঠিকাদার।
৩০ লাখ টাকার এ প্রকল্পে ১০ শতাংশ লেস ও আয়কর বাদ দিয়ে ২৭ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। চলতি বছরের মার্চের শুরুতে কাজটির ওয়ার্ক অর্ডার পান মেসার্স মিঠু টেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সবচেয়ে বড় অনিয়ম হলো এখনো কাজ শেষ হয়নি। অথচ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি অফিস ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে ২৩ লাখ টাকার মতো ছাড় দিয়েছেন। বাকি টাকাও ছাড় দেয়ার প্রসেসিং সম্পন্ন করা হয়। প্রকল্পের জন্য টানানো হয়নি তথ্যবোর্ড।
মিঠু টেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিঠু বলেন, শিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষের পথে, তবে আমি এখনো কোনো বিল পাইনি। কাজের তদারকিতে থাকা উপপ্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুধু রঙের কাজ নয়; এখানে টাইলসসহ অন্যান্য সংস্কার কাজ করার কথা। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে নেই। যতটুকু কাজ করেছেন, ততটুকু কাজের বিল দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, কাজের পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা