পর্যটকদের পদচারণায় মুখর নাপিত্তাছড়া ঝরনা
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই ( চট্টগ্রাম)
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
পর্যটকদের পদচারণায় মুখর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম নিদর্শন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার নাপিত্তাছড়া ঝরনা। এ ঝরনার সৌন্দর্য অন্য ঝরনার চেয়ে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এখন বৃষ্টির পানিতে ঝরনা ফিরে পেয়েছে ভরা যৌবন! যাওয়ার পথের ছড়া থেকে শুরু করে ঝরনার উৎপত্তিস্থল পর্যন্ত স্বচ্ছ পানিতে টইটম্বুর। ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের যেন খুব সহজে আপন করে নিচ্ছে। তাই তো প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসছেন শত শত পর্যটক।
নাপিত্তাছড়া ঝরনার এই অদ্ভুত নামের ঝরনাটিতে রয়েছে চমৎকার ট্র্যাকিং আর প্রকৃতি দেখার অপার সুযোগ। দেশের যেকোনো স্থান থেকে মিরসরাইয়ের নয়দুয়ার এলাকায় নেমে লোকজন ছুটছেন পূর্বদিকে পাহাড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নয়দুয়ারিয়া বাজারে বেশ কয়েকটি বাস, মাইক্রো, হাইয়েস, নোহা দাঁড়িয়ে রয়েছে। সব গাড়ির যাত্রীর গন্তব্য নাপিত্তাছড়া ঝরনা। কাঁধে ব্যাগ ও একটি কঞ্চি নিয়ে ছুটছেন তাঁরা। কেউ কেউ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় ৪-৫ ঘণ্টার জন্য একজন গাইড নিয়ে যাচ্ছেন।
এখানে চারটি ঝরনা রয়েছে। টিপরাখুম, কুপিটাকুম, মিঠাছড়ি ও বান্দরখুম ঝরনা। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ হেঁটে কিছুটা ক্লান্ত হলেও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখে মন জুড়িয়ে যাবে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে পুরো পথ জুড়েই। যেতে যেতে প্রথম অস্বচ্ছ পানির টিপরাখুম ঝরনাটি পেলাম। ২০ মিনিট যাওয়ার পর কুপিকাটাকুম পেলাম। এ ঝরনার সামনের পানির অংশ বেশ গভীর। যাদের ট্র্যাকিং করার অভিজ্ঞতা নেই তাদের মিঠাছড়ি ঝরনার পাহাড়ের খাঁড়া ঢাল বেয়ে ওপরে উঠতে সতর্ক থাকতে হবে। বর্ষার সময় এর সৌন্দর্য অতুলনীয়। এরপর ৪৫ মিনিট ঝিরি পথ হাঁটার পর পেয়ে যাবেন বাকি তিনটার থেকে আরো উঁচুতে বান্দরকুম।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ৭ বন্ধুসহ ঘুরতে আসা সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র আরাফাত হোসেন জানান, কলেজ বন্ধ থাকায় বন্ধুরা মিলে নাপিত্তাছড়ায় আসলাম। বর্ষার পানি ঝরনার সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়েছে। আমরা আপসোস করতেছি আরো আগে কেন আসলাম না।
মিরসরাইয়ের ফেনাপুনি থেকে কয়েকজন বন্ধু মিলে ঘুরতে আসা শিহাব শিবলু বলেন, নাপিত্তাছড়া ভ্রমণের আনন্দ বললে প্রথমেই বলব বড় বড় পাথর আর পাহাড়ের গহিনে যাওয়াটা সহজ বিষয় না। তবে অপূর্ব প্রকৃতি আর অপরূপ ঝরনা আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা