১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মিশ্রফল বাগান করে উজ্জ্বল এখন সফল উদ্যোক্তা

নিজের মিশ্র বাগানে উজ্জ্বল আহমেদ : নয়া দিগন্ত -

প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করেও অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে যে কাজে লাগানো যায় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মিশ্র ফল বাগান করে বগুড়ার নন্দীগ্রামের উজ্জ্বল আহমেদ। হয়েছেন সফল উদ্যোক্তাও। পড়াশোনা শেষ করে ইউটিউব দেখে ৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন মিশ্র ফলের বাগান।
সরেজমিনে উপজেলার ভাটরা ইউনয়িনের মির্জাপুর গ্রামে উজ্জ্বলের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি হরেক রকমের ফলের গাছ। উজ্জ্বলের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি ঢাকা কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ২০২৩ সালে মাস্টার্স শেষ করেন। টিউশনি করেই পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। করোনা মহামারীতে টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক তখনি উজ্জ্বলের চোখে পড়ে শাইখ সিরাজের মিশ্র ফল বাগান নিয়ে করা একটি প্রতিবেদন। বাড়িতে এসে পরিবারের সাথে পরিকল্পনার কথা জানালে মেনে নেয়নি তার বাবা আব্দুল খালেকসহ পরিবার। টিউশনির ১২শ’ টাকা দিয়ে ৪০টা চায়না-৩ জাতের বারোমাসি লেবুর চারা ক্রয় করে ৫ শতক জমিতে রোপণ করেন। একসময় এ ৪০টা গাছ থেকে লেবু বিক্রয়ের পাশাপাশি লেবুর গুটি কলম বিক্রি করে লাভবান হন।
এরপর উজ্জ্বল উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার নাজমুল হোসাইনের পরামর্শে ৫ বিঘা জমিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করে দার্জিলিং কমলা, ভিয়েতনামী মাল্টা, রংবিলাস আঁখ, বলসুন্দরী কুলসহ প্রায় ২০ প্রজাতির ফল গাছ রোপণ করেন। পাশাপাশি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে চারাও বিক্রি করেন। আরো পাঁচ বিঘা জমিতে নার্সারি করার প্রস্তুতি চলছে।
উজ্জ্বলের স্বপ্ন অঙ্কুর এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারিতে রয়েছে দেড়শ’ প্রজাতির ফলের চারা। তার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের নামও স্বপ্ন অঙ্কুর এগ্রো ফার্ম।
উজ্জ্বল আরো জানান, চারা ও ফল বিক্রি করে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় করছেন। আশেপাশের অনেক বেকার যুবক আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসছে। এ গাছগুলো থেকে আগামী ২০ বছর পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যাবে। এখন তিনি অনেক স্বাবলম্বী।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল জানান, নন্দীগ্রামে যদি কোনো কৃষি উদ্যোক্তা থেকে থাকে সে হচ্ছে উজ্জ্বল আহমেদ। অনেক পরিশ্রমী সে। আমরা সবসময় তার পাশে রয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement