১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঈশ্বরদীতে ট্রাঙ্ক থেকে কিশোরের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

-

ঈশ্বরদীর একটি ছাত্রাবাস থেকে তপু হোসেন (১৪) নামে ট্রাঙ্কে রাখা এক কিশোরের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিখোঁজের সাত দিন পর গত শনিবার বিকেলে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাসের তিনতলার ৩০৫ নং কক্ষে তপুর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। রাত ১২টার দিকে রাজশাহী ক্রাইম সিন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) এসে তপুর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত তপু হোসেন ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ সংলগ্ন খান মঞ্জিল এলাকার রিকশাচালক আবুল কাশেমের ছেলে।
নিহত তপুর বড় ভাই অপু বলেন, গত ১৫ জুন বেলা ১১টা থেকে তপুর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে তপুর ফোন নম্বর থেকে জানানো হয় তপুকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকাশে ৩০ হাজার টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। তখন সাত হাজার টাকা দেয়া হয়। এর পর থেকেই তপুর ফোন বন্ধ। পরদিন আমার মা বাদি হয়ে থানায় জিডি করেন। এরপর আজকে পুলিশ লাশের খোঁজ পায়।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়দের সাথে পূর্বশত্রুতার জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বন্ধুদের দিয়ে বাড়ির পাশের অরণ্য ছাত্রাবাসের তিনতলার ওই কক্ষে নিয়ে হত্যা করে ট্রাঙ্কে ভরে রেখে পালিয়ে যায়।
অরণ্য ছাত্রাবাসের ৩০৪ নং কক্ষে থাকা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৩য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটি কাটিয়ে শনিবার ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষের দরজার কাছে এলে ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। পাশের কক্ষ থেকে দরজা দিয়ে বের হওয়া রক্ত দেখতে পেয়ে মেসের আয়ার মাধ্যমে মেস মালিককে জানাই। এরপর পুলিশ এসে ট্রাঙ্কের ভেতরে রাখা লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত তপু একই এলাকার কয়েকজন উঠতি বয়সী মাদকাসক্ত ছেলেদের সাথে চলাফেরা করত। তারা সব সময় স্থানীয় হাসুর দোকানে বসে আড্ডা দিত। তপুও মাদক সেবন শুরু করেছিল। ঈদের আগে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করেই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।


আরো সংবাদ



premium cement