১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হাওরের হাটবাজার এখনো পানির নিচে

সুনামগঞ্জ শহরে ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধ

শহরতলি থেকে বন্যার পানি এখনো নেমে যায়নি : নয়া দিগন্ত -

সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে পানি কিছুটা কমলেও শহরতলির আশপাশ এলাকা এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পৌর শহরের কিছু কিছু এলাকায় ময়লা পানির কারণে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
গত তিন দিন সূর্যের আলোর ঝিলিকে আশার সঞ্চার হয়েছে শহরে গৃহবন্দী লাখো মানুষের। তবে পৌর এলাকার বেশ কিছু জায়গায় পানি কমলেও শহরতলির আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতে এখনো সরছে না পানি। বন্যার কারণে নিম্নআয়ের মানুষের সমস্যা যাচ্ছে না। তারা না পাড়ছে ঘর থেকে বের হতে, না পারছে কাজ করতে। জেলার ১২ উপজেলায় প্রায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও বয়স্ক মানুষের পয়ঃনিষ্কাশন ও খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলার নিচু বাসাবাড়ি ও শহরতলির আশপাশ এলাকায় পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আর হাওর প্লাবিত হয়ে পানিতে টইটম্বুর করছে। সুরমা নদীর পানি এখনো উপচে পড়ে বাসাবাড়ি, নিচু গ্রাম ও গ্রামীণ সড়ক ডুবে আছে। উপজেলার বিচ্ছিন্ন পল্লী এলাকার গ্রামীণ হাটবাজার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। হাওর ঘেরা এই উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়ন, বেহেলী ইউনিয়ন, উত্তর ইউনিয়ন, ফেনারবাঁক ইউনিয়ন, সদর ও ভিমখালী ইউনিয়নের নিচু ঘরবাড়ি এখনো পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। গত তিন দিন আকাশে সূর্যের দেখা পাওয়ায় আশার সঞ্চার হয়েছে বানভাসি মানুষের।
তেরানগর গ্রামের নজরুল বলেন, আমরা গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়ে মহাবিপদে আছি। পানি এখনো বাড়ছে। রোদ ওঠায় আশা করছি পানি কমবে। অনন্ত কুমার দাস বলেন, জামালগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে নয়া হালট পূর্বপাড়ার সড়ক ২০২২ সালের বন্যা থেকেই ভেঙে আছে। আর সংস্কার করা হয়নি। এবারের বন্যায় একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। এই সড়কের দক্ষিণ কামলাবাজ থেকে ভাঙা পর্যন্ত কয়েকটা কালভার্ট আছে। এগুলো সমাজের ক্ষমতাবানরা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমাদের শতাধিক পরিবারের পানি নিষ্কাশন হয় না। এ কারণে এই পরিবারগুলো বছরকে বছর চরম দুর্ভোগ আর কষ্টে বসবাস করছি। তিনি কালর্ভাটগুলো খুলে দেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement




up